কোথায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং? চাকরির ঘোষণা হতেই জমায়েত ৬৯ হাজার প্রার্থীর! ঘুম উড়ছে প্রশাসনের জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য June 3, 2020 করোনা থেকে বাঁচতে প্রথম থেকেই বিজ্ঞানীরা ও চিকিৎসকরা ক্রমাগত সবাইকে বলে আসছেন যাতে প্রত্যেকে সতর্কতা এবং সচেতনতা বজায় রেখে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন। এবং এই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য গত দু’মাস যাবৎ লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। লক্ষ্য একটাই, লকডাউনের চাপে ফেলে যদি করোনাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদিও ছবি লকডাউন করেও বিশেষ কিছুই পাল্টায়নি। কিন্তু তাও সাবধানতা অবলম্বন করে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে নিয়ম করে। এবার কিন্তু এবার সম্পূর্ণ অন্য ঘটনা চোখে পড়লো ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। জানা যাচ্ছে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি পরীক্ষা হয় এবং সে পরীক্ষায় প্রায় 69 হাজার জনকে এক জায়গায় জড়ো হতে দেখা গেল। সূত্রের খবর, অনেকে মুখে মাস্কও পড়েননি। এক কথায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সাবধানবাণীকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েতকারী পরীক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদিন শংসাপত্র বিতরণ করা হয় বলে জানা গেছে। তার জন্য জেলা ভিত্তিক কাউন্টার তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা সে দিকে নজর না দিয়ে একে অপরের ওপর গায়ের ওপর দিয়ে শংসাপত্র সংগ্রহ করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। অন্যদিকে জানা গেছে, ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় এই বীভৎস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনিক কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যদিও ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও কাউন্টারে যখন ভিড় উপচে পড়ে, তখন সেই নিরাপত্তারক্ষীদের কাউকেও দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, একটি সময় প্রতিটি কাউন্টারে কেবল 15 থেকে কুড়ি জন লোক উপস্থিত ছিল। তবে তারা কেউই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেননি বলেই জানা গেছে। পাল্টা পরীক্ষার্থীরাও সাবধানতা কিছু মানেন নি। এমনকি মাক্স পর্যন্ত পড়েন নি। অন্যদিকে ডঃ ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অস্থায়ী শংসাপত্র জমা হয়েছে অনলাইনে। তবে প্রার্থীরা চাইলে এটি অনলাইনেও পেতে পারেন বলেই জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। তবে আড়াই হাজারের ওপর যেশংসাপত্রগুলি ছিল, সেগুলি কাউন্টারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই বিশেষজ্ঞরা ও ডাক্তাররা চমকে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। যেখানে করেনা সাবধানতার জন্য চার জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে 69000 জন একসাথে এক জায়গায় কোন সাবধানতা অবলম্বন না করে যেভাবে জড়ো হয়েছিলেন তাতে পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা চতুর্গুণ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাণ্ডকারখানার ওপর। অনেকেই মনে করছেন, এই পরিস্থিতি আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই তা হয়নি। তাই এবার প্রশাসনও চরম উদ্বিগ্ন বলে জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -