এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কতটা নির্লজ্জ মমতা পুলিশ, শাহজাহানকে না ধরে সুকান্তর বিরুদ্ধে মামলা! সোচ্চার বিজেপি!

কতটা নির্লজ্জ মমতা পুলিশ, শাহজাহানকে না ধরে সুকান্তর বিরুদ্ধে মামলা! সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের প্রশাসন যে লজ্জার মাথা খেয়ে বসে আছে, এটা আজকে নতুন করে বলে বোঝাতে হবে না। সব জায়গায় শুধু বিরোধীদের কি করে হেনস্থা করা যায়, তাদের বিরুদ্ধে কি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ করেই চলেছে। সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা হল। তারপর থেকেই মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান নিখোঁজ। কিন্তু তাকে চাইলেই ধরতে পারে পুলিশ। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ধরা হচ্ছে না বলে নানা মহলে অভিযোগ উঠছে। আর এই পরিস্থিতিতে যখন মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবি করতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ বিজেপি নেতারা, তখন তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশের পক্ষ থেকে করা হলো স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। যার ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই পুলিশ কতটা মেরুদন্ড বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূলের কাছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ন্যাজাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার‌‌। তাদের একটাই বক্তব্য ছিল যে, ঘটনা ঘটার এতদিন পর কেন এখনও পর্যন্ত পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না! যেখানে এই রাজ্যের পুলিশ বিরোধীদের সামান্য খুঁত পেলেই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে ছাড়ে না, সেখানে শেখ শাহজাহান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর হামলা করার পরেও কেন তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকবেন! আর পুলিশ জানে না তা তো নয়। তারা সবকিছু জেনেও যে না জানার নাটকটা করছে এবং যেভাবে আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর পরেও মূল অভিযুক্তকে ধরা হচ্ছে না, তাতে গণতান্ত্রিক নিয়ম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু এই রাজ্যে গণতন্ত্রের ধার ধারে না পুলিশ প্রশাসন এবং শাসকবর্গ। তাই গণতন্ত্রকে হত্যা করে তারা আবার বিজেপি নেতাদের ওপরেই মামলা করে বুঝিয়ে দিল যে, অভিযুক্তদের হয়েই বরাবর কথা বলে যাবে এই রাজ্যের নির্লজ্জ প্রশাসন। কিন্তু এভাবে আর কতদিন গা ঢাকা দেওয়ার শাহজাহানকে রক্ষা করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ? বিজেপিকে কেস দিয়ে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে শাহজাহান কাণ্ড যদি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়, তাহলে এই প্রশাসন মূর্খের স্বর্গে বাস করছে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যে পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ আজকে অপরাধীদের দেখে বেঞ্চের তলায় লুকিয়ে পড়ছে। প্রশাসনের কাজ করার ক্ষমতা নেই। তারা দলদাস হয়ে গিয়েছে‌। তাই সুবিচার চাইতে গিয়ে বিজেপি যখন অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবি করছে, তখন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হচ্ছে। সত্যি, এই বাংলাকে যে ভয়াবহ জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত মারাত্মক। আগামী দিনে এই পুলিশরাজকে ধ্বংস করতে না পারলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য চরম বিপদ অপেক্ষা করছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যতই শাসকের চাপ থাকুক না কেন, পুলিশ যদি বেঁকে বসে, তাহলে তো শাসকের কর্তা ব্যক্তিরাই তাদের ভয় পেতে শুরু করবে। কিন্তু এই রাজ্যের পুলিশ এত কেন শাসককে ভয় পাচ্ছে? কেন বিন্দুমাত্র নিরপেক্ষতা তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না? চটি চাটতে চাটতে তারা যে পরিমাণ নির্লজ্জতা দেখাচ্ছে, তাতে লজ্জিত গোটা বাংলা‌। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশ যে কাজ করল, তার চরম পরিনাম তাদেরকে ভবিষ্যতে ভোগ করতে হতে পারে। মূল অভিযুক্তকে না ধরে যারা মানুষের হয়ে কথা বলছেন, যারা মানুষের হয়ে প্রতিবাদ করছেন, তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করল মমতা পুলিশ। কিন্তু গণতন্ত্রে পুলিশিরাজ শেষ কথা বলে না। তাই আগামী দিন এর কুফল নবান্নে সজোরে আঘাত করবে। নির্লজ্জ প্রশাসনের আশ্চর্য মূলক পদক্ষেপের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!