এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হিন্দুদের উৎসবে ছুটি নেই ! এ কেমন দ্বিচারিতা মমতার ? পর্দাফাঁস শুভেন্দুর !

হিন্দুদের উৎসবে ছুটি নেই ! এ কেমন দ্বিচারিতা মমতার ? পর্দাফাঁস শুভেন্দুর !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিবার বাদ এবং তোষণবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রবল সর্বনাশ করছেন রাজ্যবাসীর। রাজ্যের হিন্দু সনাতনীরা যখন মকর সংক্রান্তি উৎসব পালনে ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন, যখন পিঠে পুলির উৎসবে আনন্দিত বাংলা, ঘরে ঘরে যখন পুজো পার্বণ চলছে, তখন স্কুল-কলেজ, অফিস কাছারি সব কিছু খোলা। অনেকে বলছেন, এটাই তো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিচারিতা। মুসলিমদের শবেবরাত হলে আর সেটা যদি রবিবারেও হয়, তাহলে তিনি সোমবার দিন সেই উপলক্ষে ছুটি দেন। কিন্তু আজ সোমবার যখন মকর সংক্রান্তির উৎসব যখন পালন হচ্ছে, তখন এই দিন তিনি ছুটি দিয়ে হিন্দুদের মন জয় করতে পারলেন না! আসলে মুসলিমদের ভোট পাওয়া তার পক্ষে খুব জরুরী। তাকে তো ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। সেই কারণে হিন্দুদের উৎসবে ছুটি না দিলেও, মুসলিমদের উৎসবের ছুটি দিয়ে তিনি সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ এবং তোষণের রাজনীতি করছেন বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আজকে মকর সংক্রান্তি, কিন্তু ছুটি নেই। সরস্বতী পূজায় একদিন ছুটি। রাম নবমীতে ছুটি নেই। কিন্তু সবেবরাত যদি রবিবারে পড়ে, তাহলে সোমবারেও সেই ছুটি উনি দেবেন। আমরা নিজের ধর্মের প্রতি সহনশীল, আর অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আপনিও সেই ভাবে সকল ধর্মকে সমান চোখে দেখুন। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করবেন, তাদেরকে খুশি রাখবেন ভোট পাওয়ার জন্য, এটা ঠিক নয়।” অনেকে বলছেন একদম মোক্ষম জায়গায় আঘাত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দু ধর্ম এমন এক ধর্ম যে ধর্ম নিজের ধর্মের প্রতি আচার অনুষ্ঠান যেমন পালন করতে শিখিয়েছে ঠিক তেমনি অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখিয়েছে। আর একজন প্রশাসক, তিনি যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তখন তো তার সকল ধর্ম, সকল বর্ণকে সমান চোখে দেখা উচিত। সেখানে শুধুমাত্র ভোট পাওয়ার জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কেন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে পোষণ করতে গিয়ে হিন্দুদেরকে প্রতিমুহূর্তে প্রতিটি পার্বণে আঘাত দিচ্ছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি তো নিজেও এই হিন্দু সম্প্রদায়ের এই একজন। তাহলে তার কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ কি কাম্য? কোনো ধর্মের প্রতি বাড়তি কিছু করতে তো তাকে কেউ বলেনি। কিন্তু তারপরেও মকর উৎসবের মত গুরুত্বপূর্ণ পুণ্য তিথিতে তিনি সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ খোলা রেখে কি সেই হিন্দু সম্প্রদায়কে এবং তাদের আচার অনুষ্ঠানকে আঘাত করছেন না? সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

এদিকে গোটা ঘটনায় রাজ্যকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নিরপেক্ষ কিছু আশা করাই বৃথা। তিনি শুধুমাত্র ভোটব্যাংক বোঝেন। তাই যে সম্প্রদায় তাকে খুশি রাখবে, তাদেরকে তিনি তোষন করতেই ব্যাস্ত। কিন্তু রাজ্যের মানুষ এবং সনাতনীরা এই সরকারের মুখোশ কিছুদিনের মধ্যেই খুলে দেবে। তারা সকলে একত্রিত রয়েছে এই সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণের বিরুদ্ধে। আগামী দিনে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার ফল ভোগ করতে হবে এই শাসককে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল দলের এক গুণধর নেত্রী মা কালীকে নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। আর তারপরেই তার কি পরিণতি হয়েছে, সেটা সকলেই দেখেছে। এখন তার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার বড় বড় গলায় আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় না। তাই বিশ্বের সবথেকে বড় ধর্ম হিন্দু ধর্ম। এই ধর্ম পবিত্রতা, সৌজন্যতা, শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু সেই ধর্মের বড় পার্বণে ছুটি না দিয়ে অন্য একটি ধর্মের প্রতি এই রাজ্য সরকারের দরদ পশ্চিমবঙ্গের সনাতনী ভাবাবেগের মানুষদের মনে প্রবল আঘাত দিচ্ছে। আর একজন সনাতনীর সেবক হিসেবে গোটা বিষয়টি নিয়ে খারাপ লেগেছে জন্যেই এই সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এটা অবশ্যই বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তা না হলে এই সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধি করে হিন্দু ধর্মকে সনাতনীদের আবেগকে আরও ধ্বংসের মুখে ফেলে দিত। তাই এখন সেই সনাতনীদের জাগ্রত হওয়ার সময় এসেছে। আগামী দিনে এই মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সরকারের দ্বিচারিতার মুখোশটাকে টেনে খুলে ফেলতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!