এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল >  নষ্টের গোড়া মমতা পুলিশ, শাহজাহান কান্ডে আরও বড় তথ্য ফাঁস! গর্জালেন শুভেন্দু!

 নষ্টের গোড়া মমতা পুলিশ, শাহজাহান কান্ডে আরও বড় তথ্য ফাঁস! গর্জালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সন্দেশখালির ঘটনার পর বহুদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি শেখ শাহজাহানকে। তিনি এত বড় বাঘ, তিনি নাকি কাউকে দেখে ভয় পান না! অথচ এই ঘটনা ঘটার পর থেকে তার সামনে আসার সাহস নেই। বিরোধীরা এতদিন অভিযোগ করে এসেছে যে, শেখ শাহজাহানকে ইচ্ছা করেই ধরছে না এই রাজ্যের প্রশাসন। কারণ তাকে ধরলে সরকারের কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যাবে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই শাহজাহান কাণ্ডে বড় তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যখন অনেকে বলছেন যে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন ঘাড় ধরে শাহজাহানকে বের করছে না, তখন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন এই কাজ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি! পাশাপাশি তিনি এটাও বোঝালেন যে, এই রাজ্যের পুলিশ কিভাবে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে শেখ শাহজাহানের মত অভিযুক্তকে। আর শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্যের পর রীতিমত অস্বস্তিতে এই রাজ্যের প্রশাসন থেকে শুরু করে পুলিশ মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না, তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, শেখ শাহজাহান পুলিশের আশ্রয়ে রয়েছে। তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে এই রাজ্যের পুলিশ। আর এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কোনোমতেই দায়ী করা সম্ভব নয়। কারণ মামলা তাদের হাতে নেই। তাদের হাতে মামলা এলে তারা এই শাহজাহানকে কিভাবে ধরতে হয়, সেটা ধরে দেখিয়ে দেবে। কারণ এই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে ধরা কোনোমতেই সম্ভব নয়। কারণ তারা এই কাজ করবে না। কিন্তু কেন এমন বললেন শুভেন্দুবাবু? অনেকে বলছেন, এই উত্তরটা অত্যন্ত সোজা। কারণ শেখ শাহজাহানের নির্দেশে সন্দেশখালিতে যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে ওপরতলা থেকেই যে সেই নির্দেশ এসেছে, সেটা আজকে বুঝতে বাকি নেই। তাই পুলিশ যদি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে সামনে আনে, আর তাকে যদি ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাহলে সেই শাহজাহানের পেট থেকে অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে যাবে। আর সেই গোপন তথ্যে ঘুম উড়বে তৃণমূলের ওপর তলার নেতা-নেত্রীদের। স্বাভাবিক ভাবেই তাকে এখন আড়াল করে রাখা হয়েছে। তাই এই পুলিশ তৃণমূলের কথামত কাজ করবে এবং শেখ শাহজাহানকে ধরবে না, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এই প্রশাসনের কাছ থেকে এমন কিছু আশা করাই বৃথা। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সন্দেশখালির ঘটনার ইতিবৃত্ত টানা যাবে না। শেখ শাহজাহানকে ঘাড় ধরে জেলের ভেতরে ঢোকানো উচিত এবং তারপরে গোটা ঘটনা কেন তিনি ঘটালেন, তা জেনে আসল যদি কেউ মাথা থাকে, তাহলে তাকেও গ্রেফতার করা উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকার যে দলের হয়, সেই দলেরই হয়ে যায় পুলিশ। এটা আজ থেকে নয়। বিগত বাম আমলেও এই ট্র্যাডিশন ছিল। কিন্তু এতটা পুলিশিরাজ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অতীতে কখনও দেখেনি। তৃণমূলের আমলে তা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। সব জায়গায় পুলিশকে ব্যবহার করা একটা ব্যাড হ্যাবিট হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কাছে। একজন অপরাধী, যিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত, তাকেও কিনা পুলিশ আশ্রয় দিচ্ছে। অথচ এই পুলিশের সেই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকানো উচিত ছিল। সত্যিই, কি বিচিত্র এই বাংলা! অপরাধীদের ধরার বদলে তাকে আশ্রয় দিতেই ব্যস্ত এই দলদাস পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!