এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহাজাহানের দাপট শেষ? কড়া প্রশ্ন আদালতের! তুলোধোনা বিজেপির!

শাহাজাহানের দাপট শেষ? কড়া প্রশ্ন আদালতের! তুলোধোনা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শেখ শাহজাহানের নাকি এত ক্ষমতা, তার দাপটে নাকি বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর সন্দেশখালিতে হামলা নেমে আসার পরেই কার্যত উধাও হয়ে যান এই শেখ শাহজাহান। এমন অবস্থা তাকে নাকি পুলিশ পর্যন্ত খুঁজে পাচ্ছে না! কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, নাকি খোঁজার চেষ্টা করছে না, নাকি নিজেদের আশ্রয়েই সেই শাহজাহানকে রেখেছে! এইসব প্রশ্ন ঘুরছে বিরোধীদের মধ্যে। যখন অপরাধ করেছেন, তখন আড়ালে না থেকে অন্তত বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে ধরা দেওয়া উচিত ছিল শেখ শাহাজাহানের। কিন্তু তা না করে এবার মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আইনজীবী মারফত আবেদন করলেন এই তৃণমূল নেতা। যা শুনে কড়া কড়া প্রশ্নে সেই শাহজাহানের আইনজীবীকে চাপে ফেলে দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

প্রসঙ্গত, এতদিন ধরে সন্দেশখালীর ঘটনার 10 দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। বিরোধীদের দাবি যে, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ধরছে না। কারণ তিনি তৃণমূলের বড় সম্পদ। তাই এত বড় অপরাধ করার পরেও তাকে ধরা হচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে আজ আইনজীবী মারফত সেই শেখ শাহজাহান মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। আর সেখানেই জয় সেনগুপ্ত তার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন যে, শেখ শাহাজাহান কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? প্রত্যুত্তরে তার আইনজীবী জানান যে, তিনি এসিআর দেখেননি। তবে অনেকে বলছেন, এসব বাচ্চা বাচ্চা কথা তার আইনজীবীর কাছ থেকে আর যাই হোক, বাংলার মানুষ শুনতে চায় না। বাংলার মানুষ চাইছে যে, শেখ শাহজাহান কবে আত্মসমর্পণ করবেন! যে প্রশ্ন আজকে আদালত করেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, গোটা ঘটনায় বিচার ব্যবস্থা অত্যন্ত বিরক্ত। একজন এত বড় অভিযুক্ত, অথচ তিনি চুপচাপ গায়েব হয়ে রয়েছেন! কিন্তু এই রাজ্যের পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না, এটা কি করে সম্ভব? স্বাভাবিক ভাবেই আজ বিচারপতির প্রশ্নের পর যদি বিবেক এবং লজ্জা থাকে, তাহলে শাহজাহান গর্ত থেকে বেরিয়ে ধরা দেবেন বলেই মনে করছে একাংশ। কিন্তু অনেকে বলছেন, সেই সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শেখ শাহজাহানের মত তৃণমূল নেতারা লজ্জার মাথা খেয়ে বসে আছেন। সেই কারণে তারা এই দলের রোল মডেল। আজকে তাদের জন্য বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত। যারা কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের ওপর হামলা করেন, তাদের কতটা ঔদ্ধত্য, তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে এতদিন পরেও এইভাবে এই সমস্ত অভিযুক্ত ছেড়ে রাখা উচিত নয়। অবিলম্বে এই ব্যাপারে আদালতের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিচারপতি এদিন যে প্রশ্ন করেছেন, তা তো গোটা রাজ্যের মানুষের প্রশ্ন। যারা সুবিচারের আশায় রয়েছেন, তাদের সকলের প্রশ্ন যে, কেন এই শেখ শাহজাহান এখনও পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করছেন না! যখন তিনি ভুল করেছেন, তখন সেই ভুলের মাশুল কেন তিনি দেবেন না? এতই যখন তার ভয়, তাহলে তিনি এই কাজ করতে গেলেন কেন! তবে বিচারপতির এই প্রশ্নের পরে যদি হুশ ফেরে শাহজাহানের, যদি তিনি সামনে আসেন, তাহলে তাচে সকলেরই মঙ্গল। আর যদি এরপরেও নির্লজ্জতা অবলম্বন করে এভাবেই তিনি আড়াল হয়ে থাকেন, তাহলে তার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত করুন হতে চলেছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!