এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছিঃ, কলকাতা পৌরসভায় বিজেপির সজলকে মারধর! সহ্যের সব সীমা ছাড়িয়ে গেল তৃনমূল!

ছিঃ, কলকাতা পৌরসভায় বিজেপির সজলকে মারধর! সহ্যের সব সীমা ছাড়িয়ে গেল তৃনমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যে যতটুকু গণতন্ত্র এখনও পর্যন্ত বেঁচে রয়েছে, এবার সেটা তাকেও যেভাবে হোক, হত্যা করার খেলায় নেমে পড়েছে শাসক দল। এতদিন পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলা করে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে। আর এবার একেবারে কলকাতা পৌরসভার অধিবেশনের ভেতরে তৃণমূল কাউন্সিলরের দ্বারা নিগৃহীত হলেন বিজেপির কাউন্সিলররা। বিরোধী রাজনীতিকে শেষ করে দিতে কলকাতা পৌরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিমের সামনেই চললো হাতাহাতি। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তৃণমূলের এই ঔদ্ধত্য এক বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকলো কলকাতা পৌরসভায়। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, আজ কলকাতা পৌরসভার অধিবেশনে বিতর্ক চলছিল। যেখানে বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধীদের পক্ষ থেকে কোনো প্রশ্ন না আসায় হতাশ হতাশা প্রকাশ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একইভাবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন আসা বাঞ্ছনীয় বলে জানান চেয়ারপার্সন মালা রায়। আর তারপরেই গোটা ঘটনায় প্রতিবাদ জানান বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রশ্ন করে কি করব! সেভাবে তো প্রশ্ন করতেই দেওয়া হয় না। সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না।” আর তারপরেই তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। যেখানে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু প্রথমে এক হাত দিয়ে বিজেপি কাউন্সিলরকে ধাক্কা দিচ্ছেন। আর তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। আর যে কলকাতা পৌরসভা বহু ঐতিহ্যের সাক্ষী, তার অধিবেশন কক্ষের ভেতরে এইভাবে বিরোধী শক্তিকে দমন করার জন্য তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঔদ্ধত্য রীতিমতো হতবাক করছে সকলকে।

বিরোধীদের কটাক্ষ, কলকাতা পৌরসভায় বিজেপির মাত্র তিনজন কাউন্সিলর রয়েছেন। কিন্তু তাদেরকেও এত ভয় শাসকদলের যে, তারা প্রতিবাদ করলে এখন তাদের গায়ে হাত তুলতেও দুবার ভাবছেন না কাউন্সিলররা। এতদিন নিচু তলার কর্মীদের দিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। আর এবার একেবারে উপরতলার নেতাদের ওপরেও তৃণমূলের হেভি ওয়েট কাউন্সিলররা আক্রমণ শানাচ্ছেন। যা দেখে বিরোধীরা একটাই কথা বলছেন, তৃণমূলের শেষের সময় চলে এসেছে। তাই সব কিছুকে নিজেদের দখলে রাখতে আতঙ্কিত হয়ে সহ্যের শেষ সীমা ছাড়িয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের এমন একটা পরিস্থিতি যে, কলকাতা পৌরসভার অধিবেশন চলছে, সেখানেও বিরোধী কাউন্সিলার কথা বলতে পারবেন না?

পর্যবেক্ষকদের মতে, সত্যিই এই চিত্র দেখে রীতিমত গণতন্ত্র লজ্জিত হচ্ছে। যে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার কথা বলে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সরকারের একি দশা? দলীয় কাউন্সিলররা এতটুকু সহ্য শক্তি দেখাতে পারছেন না? নিয়ম অনুযায়ী, শাসক দলে যারা থাকে, যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের অনেক বেশি সহ্যশীল হতে হয়। বিরোধীদের কথা শুনতে হয়। কিন্তু কলকাতা পৌরসভায় বিরোধী কাউন্সিলর প্রতিবাদ করতে গেলেই তার উপরে নেমে এলো আক্রমণ। তৃণমূল কাউন্সিলরের সাহস দেখে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিজেপি কাউন্সিলরদের মধ্যে। কলকাতা পৌরসভার ভেতরেই যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে বাইরে যারা প্রতিনিয়ত এলাকায় পড়ে থেকে, মাটি কামড়ে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন, তাদের কি পরিণতি হচ্ছে, তা ভেবে গা শিউরে উঠছে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!