এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > দাদা দাপুটে কাউন্সিলার, রাস্তা দখল করে ভাইয়ের বালি-স্টোনচিপসের ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন

দাদা দাপুটে কাউন্সিলার, রাস্তা দখল করে ভাইয়ের বালি-স্টোনচিপসের ব্যবসা, নির্বিকার প্রশাসন

কথায় আছে “কর্তার জন্য মারে হাস, আর গুষ্টিসুদ্ধ খায় মাস।” বর্তমানে এই প্রবাদ প্রবচনটির সাথে প্রবল সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায় নেতা মন্ত্রীর আত্মীয়দের। আর তাইতো দাদা দাপুটে কাউন্সিলর হওয়ায় ভাই রাস্তা দখল করে বালি, স্টোন চিপস ফেলে রাখছেন। খড়গপুর পুরসভার 28 নম্বর ওয়ার্ডে গেলে এহেন ঘটনারই সাক্ষী থাকবে সকলে।‌

জানা যায়, এই 28 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা খড়গপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি রবি শংকর পান্ডের ভাই শশী পান্ডে ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। ব্যবসা করতে আপত্তি নেই কারোরই। কিন্তু এইভাবে রাস্তা কার্যত দখল করে বালি, পাথর ফেলে রাখায় বাসিন্দাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে চাপা ক্ষোভ। কিন্তু সাধারণের জন্য যেখানে আইন এক, সেখানে কাউন্সিলারের ভাই হয়ে তিনি কেন এরকম করবেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কাউন্সিলর রবি শংকর পান্ডে ভাই শশী পান্ডে বলেন, “আমি তো একা নই। বহু বছর ধরেই রাস্তার ধারে সামগ্রী রেখে অনেকে ব্যবসা করছেন। আগে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তারপর আমাকে বলবেন।” কিন্তু ভাই এরকম অন্যায় করলেও কেন সায় দিচ্ছেন কাউন্সিলর-দাদা?

এর উত্তরে সেই রবিশংকর পান্ডে বলেন, “আমার ভাই বলে সে যে অপরাধী নয় এমনটা নয়। তবে এই রাস্তা জুড়ে ইমারতি দ্রব্য রাখার রেওয়াজ গোটা শহর জুড়ে চলছে। এটাতে পুরসভা এবং পূর্ত দপ্তরের মালিকানাধীন কর্তৃপক্ষের বিষয়টিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, কাউন্সিলার এবং তার ভাইয়ের অভিযোগ কিছুটা হলেও সত্যি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত এক বছর আগে অভিযান চালিয়ে শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা ইমারত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনো ঝাপেটাপুর পুরসভার সামনে, মালঞ্চ, কৌশল্যা, পুরাতন বাজারের মত শহরের একাধিক রাস্তায় এই ইমারত বোঝাই রয়েছে। আর এই ঘটনায় পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কেন এরূপ এরকমটা হচ্ছে?

এ দিন এই প্রশ্নের উত্তরে পুরসভার পৌরপিতা প্রদীপ সরকার বলেন, “পূজোর ছুটি সবে কাটলো। নানা কাজের চাপে এই অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” অন্যদিকে পুজোর পরেই এই অভিযান হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ত দপ্তরের জেলা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ বন্দোপাধ্যায়। আর

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এখানেই বিরোধীদের একাংশের মন্তব্য, চেয়ারম্যান নানা কাজের চাপের কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু সেই কাজের মধ্যে কি এই অভিযান প্রক্রিয়া পড়ে না! নাকি শাসকদলের নেতা হওয়াতেই দেখেও না দেখার ভান করছে পুরসভা? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!