এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কারণে আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কারণে আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলা শুনানি চললো। রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চললো হাইকোর্টে। এই মামলার শুনানি একদিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সিবিআইয়ের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এরপর বিচারপতি হরিশ টন্ডন তাঁকে প্রশ্ন করেন, আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁদের গৃহবন্দির নির্দেশ দেওয়ার পরেও সিবিআই কেন তার বিরোধিতা করেছিল? কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই?

আদালতের পক্ষ থেকে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয় যে, আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানির নির্দেশ দেওয়া হলেও কেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই? এই মামলায় এত তারাহুড়ো করার কি আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিল? আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, দীর্ঘ সময় ধরে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এখন এমন কি কোন বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যাতে রাতারাতি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে গেছে সিবিআই?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর আদালতের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিকল্প দেয়া হয়। আদালতের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, এই বিকল্পগুলি শুনতে কি ইচ্ছুক সিবিআই? নাকি অন্য কোন কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই? এই বিকল্পের মধ্যে হেভিওয়েটদের গৃহবন্দী থাকার মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। তেমনি, দ্রুত শুনানি শেষ করার কথাও জানানো হয়। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আসার আশঙ্কা আছে রাজ্যে, এ কারণে অল্প সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ হবে না, সে ব্যাপারে সজাগ থাকা প্রয়োজন।

এরপর অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে,তাঁরা এখনও মামলার কপি হাতে পাননি। সিবিআই এখানে ভুক্তভোগী নয়, এখানে তাঁরা ভুক্তভোগী। এ কারণেই দীর্ঘমেয়াদী মামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সিবিআই এর পক্ষ থেকে। এরপর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ২ মন্ত্রী, ১ জন বিধায়ক ও এক নেতা গৃহবন্দি আছেন। তিনি জানান, মামলাটি যদি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয় তবে রাজ্যের মানুষের উপকার হবে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই আবেদন জানালেন তিনি।

এরপর আইনজীবী তুষার মেহেতা জানান, গত ১৭ ই মে রাজ্যের দুজন মন্ত্রী, একজন বিধায়ক ও এক নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা যেভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন, তার ফলে তদন্তকারী আধিকারিকেরা সুরক্ষিত নন। এ রাজ্যে এই মামলার তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবার মতো পরিবেশ নেই। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন যে, তাঁকে গ্রেফতার করা হোক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!