এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ? কি বলছেন বিধানসভার স্পীকার?

এবার কি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ? কি বলছেন বিধানসভার স্পীকার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার হঠাৎ করেই এক বিরল ছবি দেখেছে রাজ্যবাসী। রীতিমতো বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসা হল রাজ্যের 4 হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। 2016 সালে যে নারদা মামলা শুরু হয়েছিল, সেই মামলার অবসান ঘটাতে 2021 এর 17 ই মে নারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র দের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসলো সিবিআই। পাশাপাশি প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রেপ্তারির নিয়ম নিয়ে উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। আর তাই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়।

বিধানসভার অধ্যক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও পাল্টা আইনি পদক্ষেপ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের খবর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে অন্ধকারে রেখে। সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রীতিমতো বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিয়ম অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাজ্যের বিধায়ক বা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি বা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো রকম আইনি পদক্ষেপ করতে গেলে সবার আগে বিধানসভার স্পিকার এবং সচিবালয়কে জানাতে হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বিধানসভার সদস্য না হলেও বাকি তিনজন কিন্তু বিধানসভার সদস্য। তাই সেক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারের পরের দিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরো বিষয়টি চিঠি লিখে জানানো হয়েছে কিন্তু সেটা পুরোপুরি নিয়মবিরুদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের, তা সম্পূর্ণ বেআইনি।

গ্রেপ্তারের আগে তাঁকে সিবিআই কিছু জানায়নি, কোন চিঠিও দেয়নি। পুরোটাই স্পিকারকে অন্ধকারে রেখে করা হয়েছে। এবার তাই বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সিবিআইকে পাল্টা চিঠি পাঠানো হতে পারে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে এখনো কিছু ঘোষণা হয়নি। তবে এই গ্রেফতারের সূত্রে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তাঁরা রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই আইনি পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও বিতর্ক থেকে যাচ্ছে। কারণ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেপ্তারিতে কি সত্যিই এভাবে অনুমোদন দিতে পারেন রাজ্যপাল? আপাতত এই বিতর্কের রেশ বহুদূর গড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!