এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নতুন দায়িত্ব নিয়েই তোলাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া বার্তা এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রীর

নতুন দায়িত্ব নিয়েই তোলাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া বার্তা এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রীর

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সকল তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত নাকানি-চোবানি খাইয়ে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। আর বিজেপির সেই ধাক্কায় হেরে গেছেন তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীই। কিন্তু, তার মধ্যেই অন্যতম ব্যতিক্রমী কৃষ্ণনগর আসন থেকে জিতে সাংসদ হওয়া মহুয়া মৈত্র। বিদেশের ছেড়ে রাজনীতির টানে প্রথমে কংগ্রেসে যোগ দিলেও, পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় যোগ দেন তৃণমূলে।

এক ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলে রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে ‘মধ্যমা’ দেখিয়ে রীতিমত শোরগোল ফেলে দেন এক সময় জাতীয় রাজনীতিতে। সেই তাঁকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে করিমপুরের মত কঠিন আসনে লড়তে পাঠান। তিনিও দলনেত্রীকে হতাশ না করে হাসতে জিতে বিধায়ক হয়ে যান। এরপরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলনেত্রী তাঁকে দেন কৃষ্ণনগরের ‘ড্যামেজ’ আসনে লড়ার চ্যালেঞ্জ। কেননা এই আসন থেকে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল – প্রথমে ঘরে ছেলে ঢোকানোর বিতর্কে জড়ান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীকালে, চিটফান্ড কাণ্ডে দীর্ঘদিন তাঁকে জেলে কাটাতে হয়। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই এই আসনে জনসমর্থন তৃণমূলের থেকে দূরে সরে যাবে বলে ভাবা হচ্ছিল। অন্যদিকে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই গোটা নদীয়া জেলা জুড়েই দাপট দেখায় পদ্মশিবির। আর তাই, এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে কটা আসন বেশ সম্ভবনাময় বলে মনে করছিল গেরুয়া শিবির তার মধ্যে অন্যতম ছিল কৃষ্ণনগর। কিন্তু সেখানেই সম্পূর্ণ নিজের বাহিনী নিয়ে কর্পোরেট স্টাইলে ভোট করিয়ে ও জিতে সবাইকে তাকে লাগিয়ে দিয়েছেন মহুয়াদেবী।

আর তাই ভোট মিটতেই, দেরি না করে নদীয়া জেলাকে দুভাগ করে মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগরের ও শঙ্কর সিংহকে রানাঘাটের জেলা সভাপতি করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর নতুন দায়িত্ব পেয়েই জেলার নেতা কর্মীদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দলে কোনওরকম দুর্নীতি ও তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, তিনি নির্দেশ দেন, পুরানো কর্মীদের ফের দলের কাজে যুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। ফলে, নতুন দায়িত্ব পেতেই এবার দলীয় কর্মীদের কড়া অনুশাসনে বাঁধার কাজে নেমে পড়লেন মহুয়া মৈত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!