এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ঘুরে দাঁড়াতে বামফ্রন্টের নতুন ‘অস্ত্র’ নিয়ে প্রশ্ন-দ্বন্দ্ব দলের অন্দরেই

ঘুরে দাঁড়াতে বামফ্রন্টের নতুন ‘অস্ত্র’ নিয়ে প্রশ্ন-দ্বন্দ্ব দলের অন্দরেই

একের পর এক নির্বাচনে বিপর্যয়, সদ্য সমাপ্ত দুর্গাপুর পুরভোটে একটিও আসন জিততে পারেনি দল। তাও কেন প্রচারে নেই দল তা নিয়ে সিপিএমের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। এই যেখানে পরিস্থিতি, সেখানে পশ্চিম বর্ধমানের সিপিএম নেতৃত্বের উচ্ছাস আপাতত জেলা কমিটির ফেসবুক পেজ নিয়ে। সোমবার সীতারাম ইয়েচুরি দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির ফেসবুক পেজের উদ্বোধন করেছেন। জেলা নেতাদের দাবি, উদ্বোধন সংক্রান্ত পোস্টটি এক দিনেই প্রায় ৪০হাজার মানুষ দেখেছেন। এই ‘ভিউয়ারশিপ’ দেখে উচ্ছসিত জেলার সিপিএম নেতারা। তাঁদের আশা, সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তৈরি করা গেলে কাছে টানা যাবে যুব সম্প্রদায়কে। যদিও তৃণমূলের কটাক্ষ, সংগঠনের ফাঁক বোঝাতে আপাতত সিপিএমের ভরসা হয়ে উদয় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হোন বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের তাবড় রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলি ভীষণ ভাবেই সক্রিয় বিগত কয়েক বছর ধরেই। ‘ভিউয়ারশিপ’, ‘পোস্ট’, ‘শেয়ার’-এর দৌড়ে সামিল হতে খানিকটা পরে হলেও নাম লেখায় সিপিএম-ও। ২০১৪ সালের মার্চে লোকসভা ভোটের আগে সিপিএম নেতা বিমান বসু ফেসবুক ও টুইটারে দলের ‘পেজ’ শুরু করেন। তার পরে নানা জেলা তো বটেই, সংগঠনের স্থানীয় স্তরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খোলা শুরু হয়। রাজনৈতিক দল গুলি এই পেজ খোলার মধ্যে দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে ও জনমত গঠনের চেষ্টা শুরু করে। চলতি বছরের এপ্রিলে সাবেক বর্ধমান ভাগ হয়ে গিয়েছে। তার তিন মাস পর জুলাইয়ে সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটি তৈরি করা হয়। সোমবার জেলা কমিটির ফেসবুক পেজটিও চালু করা হল। সেই মতো পেজ উদ্বোধন ও উদ্বোধনের ‘ভিডিও’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করবার পরে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সেই পোস্ট ৩৯,৫৭৭টি ভিউয়ারশিপ পেয়েছে। আর তা দেখে সিপিএমের এক নেতার আশা, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এই ‘ভিউএরশিপ’ নিঃসন্দেহে আমাদের উৎসাহ দেবে। এই পেজ গঠনের কারণ হিসাবে দলের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টপাধ্যায়ের যুক্তি, শুধু নির্বাচন নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের সংগঠনেও তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা অপরিসীম। সেই তরুণদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। সিপিএমের অন্দরে আবার অন্য জল্পনা। একান্ত আলোচনায় অনেক কর্মীই বলেছেন, দলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মী-সমর্থকেরা যদি নিজেদের অসন্তোষ ‘পোস্ট’ করার মাধ্যম হিসাবে জেলা কমিটির ফেসবুক পেজকেই বেছে নিতে শুরু করে, তা হলে কিন্তু অস্বস্তি বাড়বে আমাদেরই। সঙ্গে এই নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দলের এক বহিষ্কৃত রাজ্যসভার সাংসদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ কিন্তু প্রকাশ্যে এসেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পেজেই! যিনি অভিযোগ করেছিলেন তিনি দলেরই একজন সক্রিয় কর্মী। অতএব,আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!