করোনা পরিস্থিতিতে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয় গত কয়েক মাস আগে। কার্যত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা গরিব,বয়স্ক, শিশুদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু মানুষদেরও সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একটি এনজিও সংস্থা। জানা গেছে এনজিওর কাজ করতে গিয়েই এই সংস্থা জানতে পারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ জাতপাত ধর্ম নির্বিশেষে আটকে পড়া মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এদিন এমনটাই জানিয়েছে ওই এনজিও সংস্থা।

সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে এনজিও সংস্থাটি রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছা সেবক সংঘের প্রশংসা করে বলেছে সংঘ কেবলমাত্র বিবেকানন্দের পথ অনুসরণ করে জাতপাত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সহায়তা করছে। বিজেপি বিরোধী দলগুলি সবসময়ই রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবক সংঘকে মুসলিম বিরোধী বলেই তকমা দিয়ে এসেছে।

কিন্তু বর্তমানে এই সংঘ‌ই পশ্চিমবঙ্গের অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে তাদের সহায়তা করছে বলে জানিয়েছে এনজিও সংস্থাটি। অর্কিড ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি সোহেল রানা আলম এদিন জানিয়েছেন তিনি নিজে এতদিন পর্যন্ত সংঘের যথেষ্ট সমালোচনা করে এসেছেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলার সংখ্যালঘু মানুষদের ত্রাণকর্তা হিসেবে সংঘ যেভাবে মানুষগুলোকে সহায়তা করছে তাতে তিনি আপ্লুত এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গেছে এদিন তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেছেন মুর্শিদাবাদের প্রায় ছয় জন পরিযায়ী শ্রমিক মুম্বাইয়ের ধারাবিতে এবং বাঁকুড়ার প্রায় দশজন পরিযায়ী শ্রমিক ঘাটকোপারে লকডাউনের কারণে আটকে যায়। এরপর তিনি ঘাটকোপারের এসপির সহায়তায় কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মহেশ কুলকার্নির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সোহেল রানা এদিন জানিয়েছেন তিনি আগে জানতেন না যে মহেশ কুলকার্নি রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত।

এদিন সোহেল রানা জানান যখন তিনি জানতে পারেন মহেশ রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত এবং সেখানকার কার্য পরিচালনা করেন তখন তিনি বিস্তারিতভাবে আমাকে জানান যে তিনি সংখ্যালঘু পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তার জন্য যোগাযোগ করেছেন। সোহেল রানার কথায় এদিন সংঘের তরফে জানানো হয় সংঘ কেবলমাত্র মানুষদের সহায়তার কথা চিন্তা করেই এগিয়ে চলছে জাতপাত ধর্মের কথা তারা চিন্তা ভাবনার মধ্যেও আনে না সুতরাং যেকোনো পরিস্থিতিতেই যে কোন মানুষকে সহায়তা করার জন্য সংঘ মানুষের পাশে থাকবে।

জানা গেছে এরপর ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ত্রাণকর্তা হিসেবে এগিয়ে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। সোহেল রানা এদিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে জানিয়েছেন সংঘের এমন কাজে তিনি বেশ আপ্লুত এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে এমনকি তিনি এদিন মুসলিমবিরোধী দলগুলোকে কটাক্ষ করে বলেছেন,‘আমি না বিজেপির সমর্থক আর না আমি RSS এর অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করি। আমি শুধু সত্যিটা বলতে শিখেছি।”