এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লকডাউনে টাকা নেই বলে মমতা ক্ষোভ উগরে দিলেও, জিএসটি রেকর্ড বলছে অন্যতম বেশি আয় বাংলারই!

লকডাউনে টাকা নেই বলে মমতা ক্ষোভ উগরে দিলেও, জিএসটি রেকর্ড বলছে অন্যতম বেশি আয় বাংলারই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউনের মধ্যে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড অনেকটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার দাবি করেছে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের সঠিকভাবে সাহায্য না করায় এবং জিএসটি টাকা কেটে নিয়ে যাওয়ায় করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের মধ্যে তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য যে পশ্চিমবঙ্গেও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট।

জানা গেছে, সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসের গুড এন্ড সার্ভিস ট্যাক্সেস বা পণ্য পরিষেবা কর আদায়ের ক্ষেত্রে এই ঘুরে দাঁড়ানোর তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে গোটা দেশে চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে 1 লক্ষ 5 হাজার কোটি টাকা। একাংশ বলছেন, এই বৃদ্ধি গত বছরের এই চলতি সময়ের তুলনায় 10 শতাংশ বেশি। অন্যদিকে যে বাংলার সরকার জিএসটি নিয়ে এত অভিযোগ করে, অক্টোবর মাসে তাদের জিএসটি আদায় হয়েছে 3738 কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে যে খুব একটা লোকসানে রয়েছে, তা বলা যায় না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, আনলক পর্বের প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনজীবনকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। যার সুফল জিএসটি সংগ্রহে পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টেট জিএসটি বা আইজিএসটি বাবদ রাজ্যের যে অর্থ আসবে, তা 2000 কোটি টাকার বেশি হবে। আর অতীতে স্টেট জিএসটি খাতে পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধির পরিমাণ 6% থাকলেও, এবার তা 10 শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে জিএসটি আদায় নিম্নমুখী হয়ে গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে গত এপ্রিল মাসে জিএসটি আদায় বাবদ রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পরিবেশন করা হয়নি‌‌ মে মাসেও ছিল এক অবস্থা। তবে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে নানা পরিকল্পনা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে জিএসটি বাবদ পশ্চিমবঙ্গে আদায় হয়েছিল 3393 কোটি টাকা। যেখানে গত বছর এই সেপ্টেম্বর মাসে আদায় হয়েছিল মাত্র 3255 কোটি টাকা। অর্থাৎ এই বছর তা বৃদ্ধির 4 শতাংশ ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। যার ফলে রাজ্যের অর্থনীতির পক্ষে এটা অত্যন্ত শুভ দিক বহন করছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অনেকে বলছেন, গত অক্টোবর মাসে জিএসটি কর সংগ্রহ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রাজস্থান, গুজরাট, অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশার মত রাজ্যগুলো প্রথম স্থান দখল করেছিল‌‌। আর এবার তাদের সাথেই জায়গা করে নিল পশ্চিমবঙ্গ। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, যেভাবে বাংলা বেশি আয় করেছে বলে জানানো হল, তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেই অভিযোগ কার্যত ধোপে টিকল না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও, এখন তা অনেকটাই ভিত্তিহীন হয়ে দাঁড়াল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!