এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাড়িতে ঢুকিয়ে কুপিয়ে খুন তৃণমূল কর্মী! অভিযোগের আঙুল উঠলেও মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির!

বাড়িতে ঢুকিয়ে কুপিয়ে খুন তৃণমূল কর্মী! অভিযোগের আঙুল উঠলেও মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজ্যজুড়ে হানাহানির ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন কোচবিহার জেলার তৃণমূল শিবিরের এক ব্যক্তি। শুধু সেই ব্যক্তি নয়, তাঁর বাড়ির লোকও রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কোচবিহার জেলার এক তৃণমূল কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দিকে।

জানা গেছে শুধু ওই তৃণমূল কর্মী নয়, তাঁর দাদা বৌদিকেও একইভাবে আক্রমণ করা হয়। বর্তমানে কোচবিহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। অন্যদিকে কুচবিহারের বিজেপির সভাপতির দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনাতে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। সূত্রের খবর কোচবিহার মাথাভাঙ্গা 1 নম্বর ব্লকের হাজরাহাটের বালাসির বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকারকে বুধবার রাতে বাড়িতে ঢুকে আচমকা কয়েক জন দুষ্কৃতী কোপাতে শুরু করে। বিষয়টি ওই তৃণমূল কর্মীর দাদা বৌদির নজরে আসতেই তাঁরা ছুটে আসেন বাঁচাতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাঁদেরকেও ছেড়ে কথা বলেনা দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যখন তিনজন তখন প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। এরপর প্রতিবেশীরাই তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা গণেশকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় এখন কোচবিহার মেডিকেলে চিকিৎসা চলছে মৃতের দাদা এবং বৌদির। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এলাকার বিজেপি কর্মীদের দিকে। এ প্রসঙ্গে কোচবিহারে তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন, গণেশ সরকার একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিল। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বিজেপিতে যাওয়ার জন্য।

গণেশ অস্বীকার করার ফলে তাঁকে প্রাণ খোয়াতে হলো বলে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই ঘটনা সম্পূর্ণ অন্য। জমি বিবাদের জেরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য শাসকদল বিজেপির নাম করছে। অন্যদিকে এই ঘটনার ফলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনাস্থল পুরো থমথমে। তবে এই ঘটনা ঘিরে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত পুলিশি তদন্তের ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!