এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পুরুলিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছেন মুকুল রায়, অপেক্ষা করুন রাজনৈতিক সুনামির – দাবি গেরুয়া শিবিরের

পুরুলিয়ায় ঘাঁটি গেড়েছেন মুকুল রায়, অপেক্ষা করুন রাজনৈতিক সুনামির – দাবি গেরুয়া শিবিরের


মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পুরুলিয়ায় দু-দুজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্য-রাজনীতি তো বটেই তোলপাড় জাতীয়-রাজনীতিও। আজ এই দুই ঘটনার প্রতিবাদে ১২ ঘন্টার পুরুলিয়া বনধ ডেকেছিল গেরুয়া শিবির, স্থানীয় সূত্রের খবর যা অনেকাংশেই সফল। কিন্তু গতকাল সকালে বিজেপির দলিত নেতা দুলাল কুমারের ঝুলন্ত মৃতদেহ আবিষ্কৃত হতেই বিকেলের দিকে পুরুলিয়া পৌঁছে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পরে সন্ধ্যেবেলায় তিনি নিহত দুলাল কুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে বিকেলবেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রীতিমত বিস্ফোরক ছিলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যথেষ্ট ভালো ফল করেছে। কিন্তু বিজেপির সেই ভালো ফলের ‘ট্রেন্ড’ টের পেতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ দিয়ে গণনার দিন বিকেল থেকে ভোট লুঠ করা হয় এবং জোর করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে জয়ের সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করা হয়। নাহলে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করত। আর তারপরেও, প্রতিটি থানার অফিসারেরা বিজয়ী বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের শাসকদলে নাম লেখাতে চাপ দিচ্ছেন নাহলে ‘গাঁজা-কেসে’ ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

মুকুলবাবু, এই প্রসঙ্গে আরও জানান, বিজেপি এইসব ঘটনা রাজনৈতিক ও আইনগত ভাবে মোকাবিলা করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন পুরুলিয়া জেলা বিরধী-শূন্য করবেন, এইভাবেই (দুই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ প্রসঙ্গে) তো করবেন! আর কিভাবে করবেন? আজ মুকুলবাবুর কলকাতায় এক অরাজনৈতিক মঞ্চের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল করে তিনি বালারামপুরেই থেকে যান। সেখানে রাত্রে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জেলার পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু। আজ সকালে সেখানে যান দলীয় নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফলে জল্পনা বাড়তে থাকে ক্রমশ। শুধু কি বনধ সফল করতেই এই তিন হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী সেখানে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে আছেন? কিছুতেই নাম প্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানালেন, অঙ্কটা অত সহজ নয়। দাদা ওখানে ঘাঁটি গেঁড়ে বসে আছেন, শুধু কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন রাজনৈতিক সুনামি দেখতে পাবেন। যেসব পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় আছে, শাসকদলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে কিভাবে সেখানে পদ্ম ফোটে দেখে নিন। তার থেকেও বড় একটি পরিকল্পনা আছে, কিন্তু এইমুহূর্তে তা বলা যাবে না ‘স্ট্রাটেজিগত’ কারণে, কিন্তু সেটা দিনের আলো দেখলে চমকে যাবে রাজ্য-রাজনীতি একথা বলতে পারি। তাছাড়াও এই জেলায়, শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের উপর ক্ষোভ যেভাবে বেড়েছে তাতে আগামীদিনে শাসক-বিরোধী বহু হেভিওয়েটকেই গেরুয়া শিবিরে দেখতে পাবেন। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন – পুরুলিয়ায় মুকুল-ম্যাজিক শুরু হল বলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!