এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাজ্যে স্বাস্থ্যে বেহাল দশা? বেশিরভাগ মুমূর্ষু রোগীদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না?

রাজ্যে স্বাস্থ্যে বেহাল দশা? বেশিরভাগ মুমূর্ষু রোগীদেরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে বহুদিন আগে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা পরিসংখ্যান করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে আগেই বলা হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। তবে সেক্ষেত্রে কেবল মাত্র অল্প উপসর্গ বা উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রেই এমন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য প্রশাসন। তার কারণ যাতে মুমূর্ষু রোগীরা এক্ষেত্রে হাসপাতালে এসে ফিরে যাওয়ার সমস্যা তৈরি যাতে না হয়।

তবে সম্প্রতি রাজ্যে যে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করোনা নয় এমন রোগের ক্ষেত্রেও হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বস্তুত এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে করোনা চিকিৎসার জন্য থাকা হাসপাতালগুলোর কথা। কারণ করোনা হওয়ার ভয়ে সেই হাসপাতাল গুলোকে এড়িয়েই চলছেন অন্যান্য রোগীরা।

ফলে অন্যান্য হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার চারটি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি যেমন কলকাতা আর এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং আরজিকর আর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যেখানে করোনা আক্রান্ত নন, এমন রোগীরা এই হাসপাতালগুলোকে এড়িয়ে চলছেন বলেই জানা গেছে।

ফলে যেখানে ওইসব হাসপাতালে নিজেদের রোগী সামলাতে অস্থির হয়ে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, তেমনই ওই চার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এড়িয়ে চলা রোগীদের চাপ বাড়ছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতাল পিজি।

জানা গেছে, পিজি এবং তার অধীনে থাকা বেশিরভাগ হাসপাতাল মিলিয়ে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ বা আইপিজিএমঅ্যান্ডইআর-র মোট শয্যাসংখ্যা ছিল ২৮০০টি। তবে করোনার জন্য দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে সেখানে কমিয়ে দিতে হয়েছে ৮০০টি শয্যা। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য চাহিদা তুঙ্গে হলেও দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে যদি পুজোর আগের একটু পরিসংখ্যান লক্ষ্য করা যায়, সেখানে তথ্য সূত্রে দেখা যাচ্ছে, ১৪ই অক্টোবর পিজিতে নতুন ও পুরানো টিকিট মিলিয়ে মোট ৬২৫২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। সেইসঙ্গে ইমার্জেন্সিতে ছিলেন ৫১৬ জন রোগী। সেদিক থেকে হাসপাতালে আউটডোরের ১০ শতাংশ মানে ৬২৫ এবং ইমার্জেন্সির ৯০ শতাংশ মনে ৪৬৪টি জায়গা পাওয়ার কথা ছিল।

তবে ১০৮৯ জন ভর্তি যোগ্য মুমূর্ষু রোগীর মধ্যে সেখানে জায়গা পেতে দেখা গেছে মাত্র ১৬৬ জনকে। অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ রোগীই কিন্তু ভর্তি হতে পারেননি। আর এই পরিস্থিতির জন্য কিন্তু দায়ী করা হয়েছে কোভিডকেই। অন্যদিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মোট বেডের মধ্যে ৭০০ বেডেই করোনার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, আর জি কর-এ মোট বেড থেকে ১৫০ শয্যা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বরাদ্য হয়েছে। সেইসঙ্গে এন আর এস-এ ১১০ শয্যা করোনা চিকিৎসায় লাগছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ১৫ই অক্টোবর পিজিতে নতুন ও পুরানো টিকিট মিলিয়ে ৫৫৯৬ জন রোগী এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে ফিভার ক্লিনিকে ১০৫জন ও ইমার্জেন্সিতে ৫৭০ জন এসেছিলেন বলে জানা যায়। যেখানে এরমধ্যে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার কথা ১০৭২ জনের, সেখানে মাত্র ১৬২ জন ভর্তি হন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে, পিজি’র সুপার ডা রঘুনাথ মিশ্রও একই কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, আউটডোরে আসা কমবেশি ১০ শতাংশ রোগী ভর্তিযোগ্য।

সেইসঙ্গে ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে তা ৯০ শতাংশ কী তারও বেশি। তা সত্ত্বেও যত রোগীর ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন, ৭০ শতাংশ কখনও কখনও তার বেশি রোগীকেই ভর্তি করতে পারা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। কারণ একদিকে নতুন বেড করার জায়গা নেই, অন্যদিকে দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে ৮০০ শয্যা কমাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি, শিশু ইত্যাদি জরুরি বিভাগে যাতে রোগী ফেরানোর অবস্থা না হয়, সেজন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!