লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় স্বস্তিতে শাসকদল – এমপি তহবিলের টাকা খরচে বহু এগিয়ে তৃণমূলই রাজ্য September 2, 2018 তৃণমূল সাংসদরাই এগিয়ে রয়েছেন সাংসদ নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচের প্রতিযোগিতায়। এমপি-ল্যাডের টাকা খরচের নিরিখে শাসকদল ছাপিয়ে গেল বিরোধীদের। এমনটাই বলছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার দেওয়া পরিসংখ্যান। সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে এ রাজ্যে প্রথম,দ্বিতীয়,তৃতীয় স্থান দখল করে রেখেছে তৃণমূল সাংসদরাই। দৌড়ে সব থেকে পেছনে রয়েছেন যিনি, তিনি হলেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। মোট বরাদ্দ অর্থের ৫০%-ও খরচ করেননি তিনি। বাম,কংগ্রেস সাংসদরা তাঁর থেকে সামান্য ফারাকে এগিয়ে থাকলেও তৃণমূল সাংসদরা তাকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে। উল্লেখ্য,৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয় প্রত্যেক সাংসদকে নিজস্ব এলাকা উন্নয়ন করার জন্য। কোথায় কত পরিমান উন্নয়নে টাকা কাজে লাগানো হয়েছে তা তদারক করার জন্যেই এদিন বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া। সাংসদদের কাজ পর্যালোচনা করে যা সামনে এসেছে তা হল- রাজ্যের মধ্যে তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলী সবথেকে বেশি উন্নয়ন খাতে দেওয়া টাকা খরচ করেছেন। মোট বরাদ্দ টাকার ৯৩.১৩% খরচ করেছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছেন একজন তৃণমূল সাংসদ। নাম কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মোট বরাদ্দ টাকার প্রায় ৯২%ই খরচ করে ফেলেছেন তিনি বারাসাতের উন্নয়নকল্পে। ওদিকে সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের বিরুদ্ধে বারবার নিজের এলাকায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠলেও তিনি কিন্তু অন্যান্য সাংসদদের টেক্কা দিয়ে রাজ্যে এমপি-ল্যাডের টাকা খরচের নিরিখে তৃতীয় স্থান অধিকার করে নিয়েছেন। বরাদ্দ টাকার ৯০.৯৫% খরচ করে ফেলেছেন তিনি। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পাল বহুদিন কারাবন্দী থাকা এবং অসুস্থতার সত্ত্বেও উন্নয়নের টাকা ভালোই খরচ করেছেন। তৃণমূল সাংসদের মধ্যে সবথেকে খারাপ পারফরমেন্স রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাংসদ উমা সোরেনের। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে, এমপি-ল্যাডের টাকা খরচের প্রতিযোগীতায় রাজ্যের শাসকদল এগিয়ে থাকায় অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবী স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা যেমন পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি,পুরসভা ,জেলা পরিষদ এসব তৃণমূলের আওতায় থাকায় বিরোধীরা সেরকম কিছু করে উঠতে পারছে না। শাসকদলের অসহযোগী মানসিকতাই বিরোধীদের উন্নয়নকল্পে বাধা সৃষ্টি করছে। অনেক ক্ষেত্রে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও মিলছে না সংশাপত্র। ফলত এই পরিসংখ্যানে বাস্তব ছবিটা আড়াল করা হচ্ছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাসকদলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -