মুকুল-কাঁটায় অস্বস্তি বাড়ছে বলেই কি হঠাৎ করে বড় দায়িত্ত্বে মদন মিত্র? জল্পনা চরমে বিশেষ খবর রাজ্য January 24, 2018 রাজনৈতিক ময়দানে দীর্ঘদিন তাঁকে দেখা যায়নি। একে সারদা মামলায় অভিযোগ, জেল-আদালতের ঘুরপাক, তার ওপর স্বাস্থ্যের অবনতি – সবমিলিয়ে তৃনমূলের আকাশে প্রায় মুছতে বসেছিলেন একসময়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র মদন মিত্র। আবার কি তাঁকে দেখা যাবে নতুন দায়িত্বে? দলীয় সূত্রে খবর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় প্রতিদিন এবার থেকে তাঁকে দেখা যাবে তাপসিয়ায় তৃনমূল ভবনে। তৃনমূল নেত্রী নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন কে কবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের শাসকদলের ‘হেড কোয়ার্টারে’, আর তাতেই দেখা যাচ্ছে দলে প্রায় ব্রাত্য হয়ে যাওয়া, ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চে স্থান না পাওয়া মদনবাবুই নিয়মিত ভাবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন সেখানে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, সারদা ও নারদ মামলায় নাম জড়ানোর পর দলে নিজের জায়গা হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রী, বিশেষ পাত্তা পাচ্ছিলেন না দলের প্রথম শ্রেণীর কর্মসূচিতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর তাঁর কাছে নতুন করে সুযোগ নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এরফলে সম্ভবত নিজের ‘খারাপ সময়টা’ কাটিয়ে উঠলেন একসময়ের দাপুটে নেতা। শুধু মন্ত্রীত্বই নয়, প্রায় হারাতে বসেছিলেন নিজের এলাকায় সাংগঠনিক দায়-দায়িত্ত্বও, একের পর এক নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও ডাক পাচ্ছিলেন না দলীয় প্রচার কর্সূচিতেও। তাই সারদা-নারদাত্তোর রাজনৈতিক জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছিল। দলের অন্দরেও তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা ধীরে ধীরে নিম্নগামী হচ্ছিল, শীর্ষ নেতৃত্বের তরফেও তেমন ভাবে সাড়া পাচ্ছিলেন না। এমনকি মাঝখানে ডাক পাননি কোর কমিটির বৈঠকেও। কিন্তু এবার সেই তাঁকেই তৃনমূল ভবনে দেখা যাবে সপ্তাহের মঙ্গল থেকে শুক্রবার। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি দলের একজন কর্মী, আমাকে যা বলা হয়েছে তাই করব। তৃনমূল সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে নেতা নেত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষের অভিযোগের সমাধান করতে প্রতিদিন নেতা নেত্রীদের তৃনমূল ভবনে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রতিদিন ২০০ টি করে চিঠি পড়ে সেসব সমস্যার সমাধান করবেন তাঁরা। তবে দলের একাংশের দাবি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মদন মিত্রকে গুরুত্ত দিতে শুরু করেছে দল। মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর দ্রুত বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ, ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়ায় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া মঞ্জু বসুকে প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে বিজেপি প্রার্থী করে ফেলেছিলেন তিনি, তাই কি একদা ব্রাত্য হয়ে পড়া মদন মিত্র দলে নতুন করে ‘গুরুত্ত্ব’ পেতে শুরু করলেন – উত্তর খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -