জল্পনা বাড়িয়ে সিপিএমকে ‘বাঁচাতে’ এবার ‘আসরে’ মদন মিত্র? বিশেষ খবর রাজ্য February 12, 2018 ২০১৪ লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাংলায় বিজেপির উত্থান লক্ষ্যণীয়। তখন সেটাকে সবাই ‘মোদী-ম্যাজিক’ বলে দেখতে চাইলেও বিজেপির উত্থান যে নেহাত ফ্লুক নয় তার প্রমান তারা রাখে ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনেও। বাংলায় রেকর্ড সংখ্যক ৩ জন বিধায়ক পাওয়ার সঙ্গে ভোট ব্যাঙ্কেও বেশ বড়সড় দাগ কাটে বিজেপি। আর তারপরে উপনির্বাচনগুলিতে তো বাংলায় প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে ওঠার দাবি জানাচ্ছে প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হিসাবে। একমাত্র সবং উপনির্বাচন ছাড়া সর্বত্রই তারা শাসকদলের পরেই দ্বিতীয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাসকদলের সঙ্গে ভোট শতাংশের ব্যবধান বড় রকমের হলেও নিজেদের ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে অনেকখানি। অন্যদিকে বাম ভোট ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে এবং কংগ্রেসের ভোট প্রায় একক সংখ্যায় নেমে গেছে সব জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে মুখে স্বীকার না করলেও রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মেনে নিচ্ছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। দলনেত্রীর দেখানো পথে, বিজেপিকে প্রধান বিরোধী হিসাবে মান্যতা না দিয়ে বামফ্রন্টকেই প্রধান বিরোধী হিসাবে তুলে ধরে এবার জল্পনা বাড়ালেন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র। খড়দহের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি জানান, বাংলা এখন খেলাধুলায় এগোচ্ছে, কিন্তু শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে খেলা আর মেলা ওদের (বিরোধীদের) পছন্দ নয়। বিরোধী বলতে বিজেপি ফিনিশ আর কংগ্রেস তো ভ্যানিশ। আর সিপিএম এর বিমানবাবুরা শুধু একটি বিদ্যাসাগর মেলা করতেন, আর ওরা খুনের খেলা খেলত। কিন্তু মদনবাবুর এহেন বক্তব্যের পরেই জল্পনা চরমে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, তাহলে কি সত্যিই বাংলায় বিজেপির ‘উত্থানে’ চিন্তিত শাসকদল? আর তাই বাস্তবটাকে সরিয়ে রেখে সিপিএমকে ‘জোর’ করে প্রধান বিরোধী দলের ‘মর্যাদা’ দিতে আসরে নামছেন শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ব্যস্ত এখন রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -