মহাকরণের ‘অবস্থা’ হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের? মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 10, 2018 রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়ন এবং সৌন্দার্যায়নই সরকারের একমাত্র মন্ত্র হয়। এই লক্ষ্যেই রাজ্যের বিশেষত কলকাতা শহরের সমস্ত সরকারী দফতর গুলির সংস্কারের কাজে সরকার হাত দেয়। সেইরকমই রাজ্য সরকারের প্রথম ৫ বছরের মেয়াদকালে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় সহ রাজ্যের একাধিক দফতর সম্বলিত মহাকরণের সংস্কার পর্ব শুরু হয়। শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যের সংস্কারকার্য বর্তমানেও চলছে। তবে এই ঐতিহাসিক সরকারী স্থাপত্য সংস্কারের তালিকায় এবার যুক্ত হলো নতুন একটি নাম । কলকাতা হাইকোর্ট। ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যকে রক্ষা করতে অতি শীঘ্র রাজ্যের প্রধান বিচালয়ের স্থান বচল করা হবে। প্রাথমিক ভাবে স্থাপত্য রক্ষার বিষয়ে বলা হলেও এই স্থান পরিবর্তনের পিছনে অন্য কোনো কারন আছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুধু তাই নয় জানা গিয়েছে রাজারহাটে হাইকোর্ট নির্মাণের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ একর জমি বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। শতাব্দী প্রাচীণ এই স্থাপত্যের আসে পাশে সময়ের সাথে সাথেই বহু কংক্রিটের সরকারী দফতর, স্টেডিয়াম , ব্যাঙ্ক প্রভৃতি নির্মিত হয়েছে। এমনকী স্থান সঙ্কুলানের জন্য নির্মিত হয়েছে হাইকোর্টের ‘অ্যানেক্স বিল্ডিং’ ও ‘সেসকিউসেন্টিনারি বিল্ডিং’। চারদিকে কংক্রিটের জঙ্গল তৈরি হওয়ায় এই সৌধের যেখানে সেখানে বাতানুকূল যন্ত্র বসাতে হয়েছে। হাইকোর্টে বাতানুকুল প্ল্যান্ট বসানোর ও উদ্যোগ নেওয়া হয় কিন্তু নির্মাণকাজ শুরুর পরই সংলগ্ন সৌধের বারান্দার একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গিয়েছিলো। যা আইনজীবি মহলে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। সেই আতঙ্কের কারণেই হোক বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই হোক, সৌধের শরীরের ভার কমাতে দোতলা থেকে ‘জাজেস লাইব্রেরি’র বিপুল সংখ্যক বই একতলার চারটি এজলাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই লাইব্রেরির জায়গায় তৈরি হচ্ছে নয়া এজলাস। এদিকে, গাড়ি রাখার জায়গা নিয়েও সমস্যা। এই সমস্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রসঙ্গত একসময় শোনা গিয়েছিলও নগর দায়রা আদালতের উল্টোদিকে পঞ্চায়েত ভবন ভেঙে ‘কার পার্কিং জোন’ হবে। সেই মত ঐ ভবন ভাঙা ও পড়েছে কিন্তু গাড়ি রাখার জন্যে কোনো আলাদা স্থান নির্মিত হয়নি। জানা যাচ্ছে বর্তমানে হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকা এতই সংকটজনক হয়ে রয়েছে যে কোনো বিপর্যয় বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে গাড়ির জঙ্গল অতিক্রম করে দমকল বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষে উদ্ধারকাজ চালানো প্রায় অসম্ভব । এমন অবস্থায় রাজারহাটের ১০ একর বিস্তীর্ণ জমিতে আদালত স্থানাতরিত হলে জানা গিয়েছে সেখানে অন্তত ১০ হাজার গাড়ি রাখার মতো জায়গা থাকবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্রাইব্যুনালগুলিকেও ওই প্রকল্প এলাকার মধ্যে আনা হবে। এখন স্বভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসছে রাজারহাটের ঠিক কোথায় এই প্রকল্প নির্মিত হতে চলেছে? প্রশ্নের উত্তরে জানা গেলো ‘প্যাঁচার মোড়’ এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁর অতি নিকটেই মেট্রো রেলের স্টেশন। সব দিক থেকেই তাই এই জায়গাটি যাতায়াত ব্যবস্থার জন্যে সর্বোৎকৃষ্ট। আপনার মতামত জানান -