মহেশতলা উপনির্বাচনকে নিয়ে তৃণমূলের নতুন চ্যালেঞ্জ রাজ্য May 26, 2018 মহেশতলাতে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ, গায়ের জোরে নয় জনগনের আশীর্বাদেই জয়ী হওয়া। নির্বাচন হবে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে’ এমনই স্লোগান দিয়ে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিলেন মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শাসকদলের বিরুদ্ধে যে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন দুলাল বাবু জানান, ”আমি জনগনের আশীর্বাদ নিয়ে বিজয়ী হতে চাই। ভোটের দিন কোনও রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেব না। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের অফিসারদেরও তা জানিয়ে দিয়েছি। বিরোধীদের কাছেও অনুরোধ, যদি ভোটের দিন কোথাও শাসক দলের বিরুদ্ধে ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে, তা হলে আপনারা আমাকে ফোন করবেন। আমি গিয়ে ব্যবস্থা নেব।” কস্তুরী দাস তথা বিধায়কের স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজ্যের শাসকদল মহেশতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে দুলালবাবুকেই প্রার্থী করেছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে কস্তুরীদেবী গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার ভোটে জিতেছিলেন, প্রতিপক্ষ ছিল বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী। বিজেপি পেয়েছিলো ৭% ভোট। তৃণমূলের সমীক্ষা অনুযায়ী মহেশতলা পুরসভায় ২৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টি তৃণমূলেরই দখলে। এছাড়া ৩৮% সংখ্যালঘু ভোটের মধ্যে ৯০% ভোট তৃণমূলেরই দখলে আসবে বলে মনে করছে শাসকদল। এলাকার জনসাধারণ উন্নয়নের দিক থেকে যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে তাই দুলালবাবুর জয় নিশ্চিত বলেই মনে করছে তারা। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী বলেন, ”মহেশতলার বাসিন্দা প্রভাত এলাকার কাছের মানুষ। প্রভাতের আশপাশে দামি গাড়ি নেই। বাস-অটোতেই তাঁর যাতায়াত। দীর্ঘ দিন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মহেশতলা এলাকার উপকারী চরিত্র হিসেবে পরিচিত মুখ। সেক্ষেত্রে বিজেপির বহিরাগত প্রার্থীকে নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ প্রভাতের পাশেই থাকবে বলেই আমি আশাবাদী।” এদিকে অবসরপ্রাপ্ত সিবিআই কর্তা সুজিত ঘোষ বিজেপির হয়ে মিছিল,মিটিং,পথসভা ইত্যাদির মাধ্যমে মহেশতলায় নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। তিনি এদিন বলেন, ”শুনছি, শাসক দল অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করার আবেদন করেছে। দেখা যাক, মানুষের আশীর্বাদ কোন দিকে যায়। আশা করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ সঠিক ব্যক্তিকেই বেছে নেবেন।” আপনার মতামত জানান -