এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগেই তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে রাজ্যে জারি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন, ইঙ্গিত বাবুল সুপ্রিয়র

বিধানসভার আগেই তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে রাজ্যে জারি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন, ইঙ্গিত বাবুল সুপ্রিয়র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এর আগে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বা সায়ন্তন বসুর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা, এবার সেখানেই উঠে এল বাবুল সুপ্রিয়র মতামত। বস্তুত, রাজ্যের বিরুদ্ধে বহুবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। সেই কথা তিনি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বলে এসেছিলেন বলেও জানা যায়। সেইসঙ্গে বাদ যাননি বাংলার অন্যান্য বিজেপি নেতা মন্ত্রীরাও।

বস্তুত, সেক্ষেত্রে যদি গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকে তবে ৩৫৬ ধারা জারি করার ক্ষেত্রে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছিল একাধিক বিজেপির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। সেক্ষেত্রে যদি তাদেরকে রাষ্ট্রপতি শাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়, তবে তেমনটাই করা হোক বলেও দাবি করা হয়। অন্যদিকে, কারো কারো কথায় বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে সব ঝামেলা, রিগিংয়ের ঘটনা দেখা গেছিল বলেও মন্তব্য করা হয়।

সেইসঙ্গে গোটা দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বাংলাতে এত অশান্তি কেন সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল অনেক বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ের কথা মনে রেখে বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে এবং মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলেই মনে করেছিলেন অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর নির্বাচন কমিশনকেই যে দায়িত্ব নিতে হবে, সে কথাই বলা হয়েছিল। অন্যদিকে বাংলায় যা ঘটছে, তাতে এমন পরিস্থিতি যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই এগোচ্ছে সেই কথাও শোনা গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও সেই জল্পনাকেই ফের উস্কে দিতে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়কে।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ” দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। দিদি যদি মনে করেন যে কেন্দ্রতে দুর্বল সরকার রয়েছে তাহলে বিরাট বড় ভুল করছেন।” তাঁর কথায়, বিজেপিকে কিছু করতে হবে না। এরকম হিংস্র সরকারের জন্য কী দাওয়াই প্রয়োগ করতে হবে, তা সংবিধানেই বলা আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তাঁর কথায়, সেই রাস্তাটাও অসম্ভব নয়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “দিদি যেন মনে না করেন এই ছ’ মাসে উনি অত্যাচার চালিয়ে ভয় পাইয়ে মানুষকে ভোট বাক্স থেকে দূরে রাখবেন।” তবে বাবুল সুপ্রিয়র এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, তিনি না জেনেই ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন। কারণ ৩৫৬ ধারা জারির আগে ৩৫৫ ধারায় রাজ্যকে সতর্ক করতে হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় বলেও জানান তিনি।

তবে এখন পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি শাসনের মতো যে নয়, সেই দাবিও করেছেন তৃণমূল সাংসদ। সেইসঙ্গে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখ করে বাবুলকে পাল্টা কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে এরই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ৩৫৬ ধারা জারি করার মতো নয় বলেই জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!