প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এ যাবতকালে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল। কার্যত এবার মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে নাম এলো তৃণমূলের। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্রমাগত যৌন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি কোন মফস্বল বা গ্রামের নয়, ঘটেছে একেবারে খোদ কলকাতার বুকে। সূত্রের খবর, গড়িয়াহাটের এক আইনজীবী তরুণীকে দিনের পর দিন কুপ্রস্তাব দিয়ে হেনস্থা করে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

তরুণীর অভিযোগ দীর্ঘ এক বছর ধরে মৌখিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্রমাগত তাঁকে যৌন হেনস্থা করতে থাকে। কার্যত ওই তরুণী এবং তরুণীর পরিবার পশুপ্রেমী। প্রতিদিন রাতে ওই তরুণী কুকুরদের খাওয়াতে যায় এবং সেখানেই আলাপ হয় কুকর্মে অভিযুক্ত ঐ ব্যক্তির। নিজেকে তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের ডানহাত বলে পরিচয় দেয় ঐ ব্যাক্তি। নিজের নাম খোকন সর্দার বলে জানায়। এবং তরুণীর সাথে আলাপসূত্রেই বারংবার তরুণীর বাড়িতে যাবার কথা বলতে থাকেন খোকন।

কারণ হিসেবে ওই ব্যক্তি শারীরিক সম্পর্ক করার কথা প্রকাশ্যেই বলেন। দীর্ঘ এক বছর ধরে হেনস্থা করার পর গত 10 জুলাই ওই তরুণীকে খোকন সর্দার আবারও কুপ্রস্তাব দিলে ব্যাপারটি পুলিশে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। এরপর 11 ই জুলাই সকালে খোকন সর্দারকে ওই তরুণী ফোন করেন। এবং যাবতীয় কথোপকথন রেকর্ড করেন নিজের ফোনে প্রমাণ স্বরুপ। এরপর সেই প্রমাণ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ঐ তরুণী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত পুলিশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওই তরুণী এবং তরুণীর মা কার্যত এই মুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। কার্যত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়ানোয় কার্যত তীব্র অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে। আপাতত প্রশাসন দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।