এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কর্মীদের জনসংযোগ বাড়ানো নিয়ে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি, কাটমানি নিয়েও বিজেপির দিকে বল ঠেললেন অভিষেক

কর্মীদের জনসংযোগ বাড়ানো নিয়ে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি, কাটমানি নিয়েও বিজেপির দিকে বল ঠেললেন অভিষেক

লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 টি আসনই দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের সেই আশা পূর্ণ হয়নি। উলটে গত 2014 সালে বাংলা থেকে তারা 34 টা আসন পেলেও এবার তা থেকে কমে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 22 টিতে। অপরদিকে বিজেপি এক ধাক্কায় 2 থেকে বাড়িয়ে তাদের আসন সংখ্যা 18 করে নিয়েছে।

আর এই পরিস্থিতিতে দলের ফলাফলের জন্য নিচুতলার কর্মীদের দুর্নীতি এবং জনসংযোগের অভাবই যে প্রধানভাবে দায়ী তা বুঝতে বাকি নেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই একদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করা এবং অন্যদিকে কাটমানি খাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে সেই একই কথা শোনা গেল তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। সূত্রের খবর, এদিন নরেন্দ্রপুরে জয়হিন্দ অডিটোরিয়ামে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বর্ধিত কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা সারা রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচি করছি। মানুষকে সাথে নিয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে ভবিষ্যতে আমাদের বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাপাতে হবে। মাথায় রাখবেন, এবার আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইভিএম নয়’ ব্যালট চাই।দলের নেতাকর্মীরা যে যেখানে আছেন, তারা সেখানকারই দায়িত্ব সামলান। বুথের নেতাকে অঞ্চল, অঞ্চলের নেতাকে ব্লক ঘুরতে হবে না।

নিজের বুথকে আগে প্রত্যেকে রক্ষা করুন।” অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিশ্রমের কথাও তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুসরণ করুন। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, একজন নারী হয়ে তিনি যেভাবে 23 টি জেলায় ঘুরে বেরিয়ে উন্নয়নের কাজ করছেন, আমাদেরও সেই ভাবে মানুষের পাশে থাকতে হবে। রোজ জনসংযোগে যেতে হবে।”

এদিকে কাটমানি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিলে রাজ্যজুড়ে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর যাকে ইস্যু করে পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি। এদিন সেই প্রসঙ্গে বিজেপির দিকেই আঙ্গুল তোলেন তৃণমূলের যুবরাজ।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের কিছু লোক ভেবেছিল চুরি করে তারা পার পেয়ে যাবে। এখন তারা বিজেপিতে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। মাথায় রাখবেন সরকারি টাকা নয়ছয় করে থাকলে কেউ ছাড় পাবে না। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তা দলনেত্রীর কাছে জানান। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে লোকসভা নির্বাচনের পর যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিভিন্ন নেতা, বিধায়করা বিজেপিতে যাচ্ছে, এখন সেই ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যেতেই তাদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার মত অভিযোগ রয়েছে, আর তাই তারা বিজেপিতে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে বলে এদিন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন তৃনমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!