কিছুদিন আগেই কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ করে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। কাশ্মীরের মানুষ যাতে গোটা ভারতবর্ষের মানুষের মত বাঁচতে পারে, সেদিক থেকে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত সত্যিই অভিনব বলে দাবি করেছে বিশেষজ্ঞরা।

আর এবার কাশ্মীরকে আরও সুরক্ষিত রাখতে কাশ্মীরের তংধর সেক্টরে পাকিস্তানের হামলার পাল্টা জবাবে ধ্বংস করা হয়েছে তিনটি পাক জঙ্গী লঞ্চল্যান্ড। প্রসঙ্গত, রবিবার ভোর রাত থেকে ভারতীয় সেনা আউটপোস্টগুলিকে লক্ষ্য করে তংধর সেক্টরে ক্রমাগত গুলি চালাতে দেখা যায় পাকসেনাকে। এমনকি পাক সেনার গুলিতে প্রাণ হারান 2 ভারতীয় জওয়ান ও এক নাগরিক। আর এরপরই ভারতের পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি চালানোর পর্ব শুরু হয়।

যেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম ভ্যালিতে বেশ কয়েকটি জঙ্গী লঞ্চ ল্যান্ড ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশি নিহত হন বেশ কয়েকজন জরুরি। আর এর পরই পাক সেনার পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয় যে, ভারতের গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এদিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের এই গোলাগুলি পর্ব শেষ হওয়ার পরেই সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে গোটা বিষয়টি জানান জেনারেল বিপান রাওয়াত।

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেনার পাল্টা জবাবে কমপক্ষে ছয় থেকে দশজন পাকসেনা নিহত হয়েছে। একাধিক জঙ্গি শিবির ধ্বংস হয়েছে। তিনটি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড নষ্ট হয়েছে। কাশ্মীর থেকে 370 ধারা বিলোপ করার পর অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়ে গিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কিন্তু কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট করার জন্য পাকিস্তান বা পাকিস্তানের বাইরে কোনও কোনও মহল সক্রিয়।”

তবে 370 ধারা বিলোপ করার পর কাশ্মীরে যেভাবে সুদিন আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র, তাতে ফের সেখানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হলে তারা যে কোনভাবেই ছেড়ে কথা বলবে না, তা এদিন পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।