এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কালো পতাকা ও স্লোগান দিয়ে মুকুল রায়কে আটকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রমাণের চেষ্টা তৃণমূলের

কালো পতাকা ও স্লোগান দিয়ে মুকুল রায়কে আটকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রমাণের চেষ্টা তৃণমূলের


বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই চোখে পড়ার মত। একে অপরকে টেক্কা দিতে ছাড়ছে না কোনো পক্ষই। কিভাবে কোন দলের নেতাকে বিপাকে ফেলা যাবে, তা নিয়ে সব সময় পরিকল্পনায় থাকে এই যুযুধান দুই পক্ষ। এবার বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রায় যোগ দিতে এসে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে বলতে দেখা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে।

সূত্রের খবর, রবিবার নদীয়ার কালীগঞ্জের দেবগ্রামে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তাকে কালো ফ্ল্যাগ দেখান। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে বিজেপির সেই সংকল্প যাত্রা পলাশপাড়া হয়ে করিমপুরের দিকে এগিয়ে যায়। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার মত বিজেপির হেভিওয়েট নেতাকে এইভাবে কালো পতাকা দেখিয়ে স্লোগান দেওয়ায় তিনি কি অস্বস্তিতে পড়লেন না!

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, “দেখুন গণতন্ত্রের এসব হয়। কেউ স্বাগত জানাতে পারে, কেউ বিক্ষোভ দেখাতে পারে। যারা স্লোগান দিচ্ছিল, তারাই দেখবেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। বাংলায় এখন একটাই প্রশ্ন, লোকতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র মানতে পারছেন না। তাই জোর করে পুলিশ, ক্যাডার দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপির সংকল্প যাত্রা শুরু হলে বিজেপি কর্মীদের একাংশ জানতে পারেন যে, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া সংখ্যালঘুদের ওপর তৃনমূলের কিছু লোকজন ব্যাপক মারধর করেছে। আর এরপরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলা হলেও সেই ব্যাপারে নিজেদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কালিগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শাসক দল তৃণমূলের আচরণ এখন অনেকটা 2011 সালের আগে বাম সরকারের মত হয়ে গিয়েছে। কারণ তখন কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেই এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মা-খেলেই পাল্টা সেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করতে দেখা যেত বামেদের।

আর এবার সেই একই পথে হেঁটে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল বিজেপির নেতা কর্মীরা মার খেলে সেই বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করে নিজেদের গা থেকে সমস্ত অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!