এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপেই কি নতুন আইনের পথে হাঁটতে চলেছেন রাজনাথ সিং?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপেই কি নতুন আইনের পথে হাঁটতে চলেছেন রাজনাথ সিং?

গোহত্যা বন্ধের নামে দেশজুড়ে চলছে গণপিটুনি। আর সেই জনরোষের আগুনে সাম্প্রদায়ীকতার ঘি ঢালছে বিজেপি – এই অভিযোগ বার বার উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার এই ইস্যুতে সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ-ধর্নায় বসলেন তৃণমূল সাংসদরা। মুখ্য ভূমিকায় তৃণমূল এবং তাদের যোগ্য সঙ্গত করেছেন তৃণমূলের দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রায় সমস্ত সাংসদ। ‘স্টপ লিঞ্চিং’, ‘উই আর ফর এ ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্টপ হেট্রেড পলিটিক্স’ এই পোস্টার হাতে নিয়ে বিরোধীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোরক্ষার নামে অসহায় মানুষকে পিটিয়ে মারার ইস্যুতে গতকাল বিবৃতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিরোধীদের চাপে এদিন আবারও তাঁকে বিবৃতি দিতে বলেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এর পর রাজনাথ সিং বলেন, ‘গণপিটুনির ঘটনা রুখতে গতকাল উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আইন করতে পারে সরকার।’

লোকসভায় গণপিটুনি ইস্যুতে স্পিকার জিরো আওয়ারে বিভিন্ন দলের কয়েক জনকে বলার সুযোগ দেন। তৃণমূল নেতা সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, ‘দেশে গণপিটুনির ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। হিংসার রাজনীতি বেড়ে চলেছে। বিশেষ উদ্দেশ্যে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক। রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে কেন্দ্র মুখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা চলতে পারে না। দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’ এদিন রাজ্যসভাতেও একই দাবীতে ঝড় তোলেন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কেন আইন আনছে না? – দলের সাংসদদের এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁদের জানান, ‘সরকার চিন্তাভাবনা করছে।’ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে বিজেপির নেতা, মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘গত ১০-১২ বছর ধরে দেশে হিংসার রাজনীতি চলছে। মহম্মদ আখলাকের ঘটনার পর যখন বিশিষ্টরা পদ্ম পুরস্কার ফেরাচ্ছিলেন, তখনই সরকারের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’ তামিলনাড়ুতেও এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান ডেপুটি স্পিকার থাম্বিদুরাই।

এই সব অভিযোগের বিরুদ্ধে রাজনাথের সাফাই ‘স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বে গণপিটুনি রোধে গতকালই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে কমিটি। তার পর কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়োজনে এই বিষয়ে আইন আনতে পারে সরকার’। 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!