নভেম্বরেই লোকসভা ভোট? মিলল ‘প্রমান’ জাতীয় বিশেষ খবর December 22, 2017 গুজরাট বিধাসভা নির্বাচনের ব্যস্ততার মধ্যেও ২০১৮ সালে রাজ্যের সমস্ত স্কুল বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাসূচী জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চিঠি পাঠানো হয়েছে হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা রাজ্য সরকারের কাছে। প্রসঙ্গত ওই ৭ রাজ্যেই চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের শেষের দিক থেকে শুরু করে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। কিন্তু কমিশনের এই তৎপরতা থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা কমিশন ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে এক সঙ্গে লোকসভা ও ঐ ৭ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর তাই জল্পনা ছাড়িয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এগিয়ে আনতে চান মোদী-সরকার। বিজেপি শাসিত রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই লোকসভা ভোটও সারতে চান নরেন্দ্র মোদী এমন গুঞ্জনও উঠছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে গুজরাটের ফল দেখে কংগ্রেস থেকে শুরু করে সব বিরোধী দলই উজ্জীবিত। এরপর লোকসভা ভোটের মাত্র কয়েক মাস আগে রাজস্থানে ফের ধাক্কা খেলে লোকসভা ভোটে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির অস্বস্তি বাড়বে। এর আগেও বিজেপি দাবি করেছিল কেন্দ্রের কাজ যাতে থমকে না যায় সে কারণেই লোকসভা-বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা ভাবা হচ্ছে। সরকারের যুক্তি দেশের বিভিন্ন সময়ে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার জন্য উন্নয়ন বাধা পায়। আদর্শ আচরণবিধির জন্য কাজ শেষ হয়ে যাওয়া প্রকল্পগুলোর আনুষ্ঠানিক সূচনাও সম্ভব হয় না। ভোট একসঙ্গে হলে অর্থ আর প্রচার সময় দুইই বাঁচবে। কিন্তু এতে বিভিন্ন রাজ্য আপত্তি তুলছে, কারণ তাহলে একসঙ্গে নির্বাচন করার স্বার্থে চলতি বিধানসভার মেয়াদ কমে যেতে বাধ্য। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে এতে সব রাজ্য সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পুরো করতে পারবে কি? তাঁদের আরও প্রশ্ন যদি কোনো কেন্দ্রীয় সরকার পুরো সময় ক্ষমতায় না থাকতে পারে কি হবে সেক্ষেত্রে? তবে সূত্রের খবর, বিজেপির আশা, আগামী মার্চের মধ্যে দেশের ২৩ রাজ্যে হয় বিজেপি না হয় বিজেপি সমর্থিত দল থাকবে ক্ষমতায়, ফলে কেন্দ্রের এমন যুগান্তকারী পদক্ষেপে খুব বেশি সংখ্যক রাজ্য বিরোধীতা করবে না। আপনার মতামত জানান -