এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছোট নেতারাও প্লেনে করে দিল্লিতে! এ কোন সংস্কৃতি স্থাপন করলেন মমতা?

ছোট নেতারাও প্লেনে করে দিল্লিতে! এ কোন সংস্কৃতি স্থাপন করলেন মমতা?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের নাকি টাকা নেই! তারা নাকি সব থেকে গরীব দল! কিন্তু সেই দলের ছাত্রনেতা থেকে শুরু করে যুব নেতা, মাদারের নেতা তো বটেই, সকলেই প্লেনে করে দিল্লির কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এইরকম একাধিক ছবি সামনে এসেছে। যা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, যে আন্দোলন করতে গরিব মানুষরা যাচ্ছে, তাদেরকে বাসে পাঠিয়ে নেতাদের এইভাবে প্লেনে করে যাওয়াটা মানুষ খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছে না। কিন্তু তাতে অবশ্য তৃণমূল নেতাদের কিছু যায় আসে না। কর্মীরা খেটে মরবে, তারা দিল্লিতে গিয়ে বিপদে পড়বে, তাতে তৃণমূল চিন্তিত নয়। তাদের ছাত্রনেতা, যুবনেতা সকলে মিলে প্লেনে করে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে পাচ্ছেন তৃণমূলের এই সমস্ত নেতারা! এ কোন সংস্কৃতি বাংলার মানুষের সামনে স্থাপন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এবার সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের এই দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিরোধী আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তো দীর্ঘদিন তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করেছেন। তাই তিনি খুব ভালো করে জানেন, তৃণমূলের কোন নেতার স্ট্যাটাস কি রকম! কিন্তু এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পেয়েছেন যে, তৃণমূলের অনেক ছাত্র নেতারাও দিল্লির কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্লেনের টিকিট বুকিং করে উড়ানে চড়ার সময় ছবি দিচ্ছেন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে। আর তা দেখে বিরোধী দলের নেতা হলেও এই প্রবণতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত শুভেন্দুবাবু। তার কটাক্ষ “আগে যারা দুইবেলা পোড়া বিড়ি টানতো, তারা এখন প্লেনে চড়ছে। ছাত্র নেতারা যারা কলেজে ইউনিয়ন করে, তারাও প্লেনে চড়ছে। এ কোন সংস্কৃতি স্থাপন করছে তৃণমূল?”

বিরোধীদের মতে, সত্যিই তো তাই। একটা ছাত্রনেতা, যে কলেজে ইউনিয়ন করে, ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতা করে, তার তো সাইড ইনকাম থাকার কথা নয়। তাহলে সে কি করে প্লেনের টিকিট বুকিং করছেন? সে কি করে দিল্লিতে যাচ্ছে! তার খরচকে বহন করছে! তাহলে কি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো জায়গা থেকে তাদের ইনকাম রয়েছে! নাকি দলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত ছাত্রনেতা, যুব নেতাদের প্লেনের খরচ বহন করা হচ্ছে! আর যদিও বা সেই খরচ বহন করা হয়, তাহলে কর্মীরা কেন কষ্ট করে বাসে যাবে? আর এই সমস্ত খুদে খুদে বাচ্চা নেতারা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে প্লেনে চড়ে ছবি দেবেন! সত্যিই কি বাংলার রাজনীতিতে এই প্রবণতা সংস্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে না?

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে গিয়ে তৃণমূল কাদের জন্য আন্দোলন করবে! সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। আদৌ তাদের আন্দোলন কতটা সফলতা পাবে, সেটা আরও বড় প্রশ্ন। কিন্তু তাদের এই নেতাদের যাতায়াত গরিব দল বলে প্রচার করার তৃণমূলের কত খরচ হলো, সেই জবাব দেওয়ার মতো ক্ষমতা কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে? শুভেন্দুবাবু তো একদম যুক্তি সঙ্গত প্রশ্ন করেছেন। মানুষের দাবি আদায় করতে দিল্লি যাচ্ছেন, আর প্লেনে আরাম করে বসে ছাত্র নেতারা, যুব নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিচ্ছেন। সত্যিই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই পরম্পরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। যার জেরে বঙ্গ রাজনীতিতে কোন সংস্কৃতি স্থাপন করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতৃত্বরা? দিনের শেষে এই প্রশ্নই তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!