দীপাবলি মিটলেই নেতৃত্বের বড়সড় পরিবর্তন এনে বিধানসভার লক্ষ্যে চূড়ান্ত দৌড় শুরু তৃনমূলের? উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শারদ উৎসব শেষ। দিপাবলীর পরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তাই তার আগে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে এখন থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার কালীপুজো শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আলিপুরদুয়ারে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারে নামতে দেখা যাবে শাসক দলকে। ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কালী পুজোর আগেই যাতে পূর্ণাঙ্গ ব্লক কমিটি গঠন করে নেওয়া হয়। আর ব্লক কমিটি গঠনের পর বিভিন্ন দলের বিজয় সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে কমিটিকে আরও শক্তিশালী ভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালীপুজোর পর থেকে এলাকায় এলাকায় মিটিং মিছিলে জোর দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী প্রকল্প থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িকতা, বিভেদের রাজনীতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে বলে খবর। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে ধারণ করছে, তাই সেই কোন্দল মেটাতে ব্লকে ব্লকে 60 থেকে 70 জনকে নিয়োগ কমিটি করা হতে পারে বলে খবর রয়েছে। অর্থাৎ নিজেদের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে যেমন মানুষের কাছে প্রচার করতে তৎপর, ঠিক তেমনই নিজেদের দলের কোন্দল যাতে আগামী দিনে তাদেরকে না ডোবায়, তার জন্যও নানা রননীতি নিতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস পর্যুদস্ত হয়েছিল। যেখানে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই আগামীদিনে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজার আগেই কালীপুজোর পর থেকেই জোরকদমে আলিপুরদুয়ার জেলায় নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এবার ব্লক কমিটি গঠনের ওপর জোর দিচ্ছে শাসকদল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “আমাদের পাখির চোখ একুশের বিধানসভা ভোট। কালীপুজোর পরেই আমরা ভোটের প্রচারে ঝাপাচ্ছি। সেই জন্য দলের ব্লক সভাপতিদের দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে এই ব্লক কমিটি গঠন করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দ্বন্দ্ব সামনে আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে. তাই সেই দ্বন্দ্ব সামলানো তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শাসকদল কিভাবে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করে আগামী দিনে বিধানসভায় জয়লাভ করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -