এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদা গড় সিঙ্গুরেও ‘লজ্জার হার’! মেনে নিতে পারছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী, দিলেন নয়া নিদান

একদা গড় সিঙ্গুরেও ‘লজ্জার হার’! মেনে নিতে পারছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী, দিলেন নয়া নিদান


লোকসভার আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল – দুহাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ! একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলায় এবার নাকি ৪২ এ ৪২ করবে তাঁর দল। তাঁর অগণিত সমর্থকও আশা করেছিলেন, তাঁদের প্রিয় দিদিই এবার দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন! কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই হয় নি, উল্টে ২৩ শে মে ফল বেরোতে দেখা গেছে – দিল্লি দখলের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে বাংলাই হাত থেকে বেরিয়ে যাবার জোগাড় হয়েছে!

এই পরিস্থিতিতে, দুদিন কার্যত ঘরে খিল এঁটে বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরে দলীয় নেতাদের নিজের কালীঘাটের বাড়িতে ডেকে বসেন রিভিউ বৈঠকে। তারপর এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, জনসমর্থন নয়, বিজেপি নাকি জিতেছে টাকা ছড়িয়ে আর ইভিএমে প্রোগ্রামিং করে! যদিও, তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণই দিতে পারেননি তিনি। উল্টে সাংবাদিকরাও নাকি ‘গেরুয়া’ হয়ে গেছেন বলে কটাক্ষ করেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাংলায় তাঁর দলের পায়ের তলা থেকে মাটি যে দ্রুত সরে যাচ্ছে, তা অনুধাবন না করে, উল্টে এইভাবে পরাজয়কে ‘চাপা’ দেওয়ার চেষ্টা করায়, তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে বেশ একটু আশ্চর্যই হয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর অবশেষে তৃণমূল নেত্রী নিজে বোধহয় অনুধাবন করেছেন – বিজেপির উত্থানকে এইভাবে আর ‘আড়াল’ করা সম্ভব হবে না! যার প্রমান মিলল আজ তৃণমূল ভবনে হুগলি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর। সেখানে স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন – যথাযথ জনসংযোগের অভাবই খারাপ ফলাফল হয়েছে দলের!

তার থেকেও বড় কথা, যে সিঙ্গুর আন্দোলনের হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক বিশাল উত্থান, সেখানেও কার্যত মুখ পুড়েছে তাঁর দলের! যার জেরে তিনি বলেই দিলেন, এই হার লজ্জার! নিজেদের জন্যই আমরা সিঙ্গুরে হেরেছি! তবে, সেই হার থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে এবার দলীয় নেতাদের জন্য বড়সড় নিদান দিলেন তিনি। তিনি জানান, হারানো জমি ফিরে পেতে হবে, নিয়ম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংযোগে জোর দিতে হবে নেতা-মন্ত্রীদের। প্রয়োজনে লিখিত আকারে সেসব অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু, এতসব করেও কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তৃণমূল? সেই উত্তরের খোঁজেই এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!