এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বাঁকুড়ায় ঘাসফুলের ‘সুদিন’ ফেরাতে আসরে স্বয়ং দলনেত্রী, প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে

বাঁকুড়ায় ঘাসফুলের ‘সুদিন’ ফেরাতে আসরে স্বয়ং দলনেত্রী, প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে


পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই প্রথম আগামী বুধবার বাঁকুড়া জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে একদিকে যেমন প্রশাসনিক মহলে তুঙ্গে উঠেছে তৎপরতা, ঠিক তেমনি দলীয় স্তরেও অনেকে নিজেদের প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার দুপুর একটায় শালতোড়ার নেতাজি সেন্টিনারি কলেজ মাঠে একটি প্রশাসনিক জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তারপরই বিকেল চারটা নাগাদ বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের আগে জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাদেরই হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। কেননা এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বাঁকুড়া জেলায় বিজেপি বেশ ভালোই ফল করেছে। আর এখানেই একাংশ মনে করছেন যে, ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত জেলায় উন্নয়নের ডালি নিয়ে গিয়ে মানুষকে খুশি রাখার চেষ্টা করেছেন।

আর তাই সেই প্রভূত উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও কেন বাঁকুড়া জেলায় মাথা চাড়া দিল পদ্ম শিবির! দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর এই রকম নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে জেলার তৃণমূল নেতাদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে জেলায় তৃণমূলের এহেন খারাপ ফল নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে একটি পৃথক রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের মতে, নিচুতলার তৃণমূল নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়াতে এখন সরকারের শীর্ষস্তরের ব্যক্তিরা প্রশাসনের ওপরই বেশি ভরসা করছেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, এই বাঁকুড়া জেলাতে ইতিমধ্যেই “সহমর্মী” নামে এক জনসংযোগের কর্মসূচির আওতায় পড়ে জেলাশাসক সহ প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনছেন। আর তাই প্রশাসনের এই কাজে যাতে শাসকদলের নেতারা কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এই বাঁকুড়া জেলায় এসে দলীয় নেতাদের কোনো বার্তা দেন কিনা এখন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন। দল সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে আমরা নিশ্চিতভাবে জানাব। এই জেলায় তৃণমূলের মজবুত সংগঠন রয়েছে। মানুষ আমাদের সাথেই আছে”। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন, বাঁকুড়ায় যে দলের সংগঠন অনেকটাই তলানিতে ঠেকেছে তা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের উন্নয়নের ডালি নিয়ে সেই বাঁকুড়া জেলায় এসে এখন দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে জেলার নেতাদের ঠিক কি টনিক দেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। কেননা, এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের শেষ ভরসার নাম সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই – আর তিনি যদি মানুষের কাছে গিয়ে নিজেই সব আসনের প্রার্থীর মত বড় দাবি করেন তাহলে কি হয় সেটা ২০১৬ সালেই দেখেছে গোটা বাংলা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!