গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধের পাশাপাশি দলের ভাঙ্গনকে রুখবার কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য December 16, 2017 জেলা পরিক্রমা সমাপ্ত করে এবার দলের কোন্দল সমাপ্ত করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী।এদিন কলকাতায় ফিরেই দলের কোর কমিটির বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সূত্রের খবর, তিন ঘন্টা ধরে চলা এই বৈঠকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনীর ‘খসড়া কৌশল’ তৈরির পাশাপাশি মুকুল রায়ের দলত্যাগের পর দলের ভাঙ্গনের প্রবণতার উৎসকে শেষ করবার জন্য নানান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।এদিন তৃণমূল ভবনে দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বর পাশাপাশি হাজির ছিলেন প্রতিটি জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব ও দলীয় প্রতিনিধিরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বিরোধীদের লাগানো সন্ত্রাসের অভিযোগের পাল্টা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নকে অস্ত্র বানিয়ে প্রচারের মাঠে খেলতে হবে।দলীয় সূত্রের খবর,বিজেপি তরফ থেকে মুকুল রায়ের তিন জেলার সফরের প্রতিটি সমাবেশে যে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে তাতে কোনো মতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাই কর্মীদের উদ্যেশে তিনি বলেন , ”রাজনীতিতে সবই সম্ভব। তাই আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কোনও কারণ নেই। বিরোধীরা আনা সন্ত্রাসের অভিযোগের পাল্টা হিসেবে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের প্রচারকে হাতিয়ার করুন। বাম আমলের সঙ্গে আমাদের আমলের উন্নয়নের ফারাক পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানুষকে বোঝান।” সূত্রের খবর ,সবং উপনির্বাচনের রণকৌশল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এদিন।প্রকৃতপক্ষে মুকুলের দলবদলের পর সবংয়ের ভোটকে ‘প্রেস্টিজ লড়াই’ হিসেবে দেখছে দল।আর সেই সবংয়ের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে কংগ্রেসী মানস ভুঁইয়ার স্ত্রী গীতারানি ভুঁইয়াকে প্রার্থী করা নিয়ে চলছে অসন্তোষ।এদিন তাই পরিষ্কার ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা সভাপতি অজিত মাইতির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”অজিতদা সবংয়ের নেতাদের বলুন রাগ, অভিমান ভুলে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়তে হবে। সবংয়ের লড়াইটা আমাদের কাছে প্রেস্টিজের ইস্যু। এটা যেন কেউ ভুলে না যায়।”তিনি আরও বলেন তার নিজের হাতে তিল তিল করে তৈরী করা দলটিকে কোনো মতেই কারুর হাতের খেলা হতে দেবেন না তিনি। কড়া ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন যার যেখানে যার সাথে ব্যক্তিগত সমস্যা তা বাইরে মিটিয়ে ফেলুন। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগণার দাপুটে নেতা সওকত আলির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশের সুরে বলেন, ”সওকত জেলায় ফিরে গিয়ে গোবিন্দ নস্কর ও জয়ন্ত নস্কর গোষ্ঠীকে ডেকে আলোচনায় বস। ওদের মধ্যে আমি নতুন করে আর কোনও কোন্দল শুনতে চাই না। এটা কিন্তু লাস্ট বারের মতো বলে দিলাম।” বৈঠক থেকে দলনেত্রী বললেন মানুষের কাছে সরকারি সকল সুবিধাগুলিকে পাঠায়ে দিতে তৎপর হন সকলে।মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির হিসাব ধরলেই বিজেপিকে রুদ্ধ করা সম্ভব হবে। আপনার মতামত জানান -