এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবগুন আছে মমতার – মহাজোটের মহাবৈঠকের আগের দিন জল্পনা বাড়ালেন বাজপেয়ীর মহামন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবগুন আছে মমতার – মহাজোটের মহাবৈঠকের আগের দিন জল্পনা বাড়ালেন বাজপেয়ীর মহামন্ত্রী


বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – এতে সন্দেহ নেই কোনো। ১৯’এর লোকসভা ভোটে কে হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী?এই প্রশ্নকে ঘিরে যখন চর্চা শুরু হয়েছে, তখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আগামী প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন বহু অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা।

তৃণমূল নেত্রী নিজে যদিও প্রকাশ্যে বারেবারেই বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না, বরং তাঁর লক্ষ্য দেশে ‘গণতন্ত্র’ ফিরিয়ে আনা। কিন্তু, নিজেদের দলনেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার সুপ্তবাসনা তো রয়েইছে জোড়াফুল শিবিরের প্রতিটি কর্মী-সমর্থকের, এমনকি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতারাও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এইমুহূর্তে যোগ্যতম দাবীদার।

আর, এদিন ফের তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবীকে আরো জোরালো করলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার গুরুত্ত্বপূর্ন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এদিন কলকাতায় তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘আইডিয়া অব বেঙ্গল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসে বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার সদস্য বললেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সমস্ত গুণ রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের’। রাজ্যের কোটি-কোটি তৃণমূল সমর্থকের মনের কথা কলকাতার বুকে বসে প্রকাশ্যে জানিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা হাজার গুন্ বাড়িয়ে দিলেন যশবন্ত সিনহা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, রাত পেরোলেই দিল্লিতে বিরোধী জোটের বৈঠক। সেই জোটে বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি আলাদা মাত্রা যোগ করবে স্বাভাবিকভাবেই। সংশ্লিষ্ট বৈঠকের একদিন আগেই কট্টর বিজেপি বিরোধী নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য দাবীদার বলে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা – সেকথা বলাই বাহুল্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এর আগেও বহুবার তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে যশোবন্ত সিনহার মুখে। কিন্তু মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মতামত ব্যক্ত করলেন তিনি। সঙ্গে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধীতায় ফের সরব হতে দেখা গেল তাঁকে। মোদীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে ‘তুঘলকি কান্ড’ বলেই কটাক্ষ করলেন তিনি। জানালেন, মোদী সরকারকে অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গেই জানালেন, ‘মমতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো সব গুণই আছে’।

সক্রিয় রাজনীতিতে কবে ফিরবেন তিনি? এমন প্রশ্ন তাঁকে করা হলে সাফ কথায় জানান, ২০১৯ এর নির্বাচনে লড়াই করার কোনো ইচ্ছে নেই তাঁর। পরে অবস্থার পরিবর্তন হলে ভেবে দেখবেন তিনি। তবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী যে কোনো প্রচারে তিনি তৈরি – এমনটাই এদিন জানান কট্টর নরেন্দ্র মোদী বিরোধী এই নেতা। উল্লেখ্য, চন্দ্রবাবু নাইডুর ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠক হতে চলেছে আগামীকাল। সেই বৈঠকে হাজির হওয়ার জন্যে দিল্লিতে উড়ে আসবেন বিজেপি বিরোধী বাঘা বাঘা নেতৃত্বরা।

এমনকি, সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীরও হাজির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই বৈঠকে – তবে তাঁরা না থাকলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বরা অবশ্যই থাকবেন বলে জানা গেছে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলাদা করে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে – এই দিল্লি সফরেই। লোকসভা ভোট সংক্রান্ত পরিকল্পনা এবং শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই বৈঠকে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, অনেক সিদ্ধান্তই দাঁড়িয়ে রয়েছে আগামী মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের উপর। তার আগে দিল্লিতে আয়োজিত বিজেপি বিরোধী বৈঠকের যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!