এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সঠিক সময়ে উপযুক্ত জবাব দিতে তৈরী হচ্ছেন বিদ্রোহী নেতা? বড়সড় বিস্ফোরণের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গ?

সঠিক সময়ে উপযুক্ত জবাব দিতে তৈরী হচ্ছেন বিদ্রোহী নেতা? বড়সড় বিস্ফোরণের অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দীর্ঘদিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় শাসকদলে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। জেলা সভাপতি কিষান কল্যানীর সঙ্গে মোহন বসুর চরম বিবাদ তৈরি হয়েছে। প্রশাসকমন্ডলীতে মোহন বসুর জায়গা না পাওয়ায় তিনি দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে সরব হয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় তার নানা মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করলেও, তীব্র অসুবিধায় পড়েছে জেলা নেতৃত্ব। তার বাড়িতে বিজেপি নেতাদের যাতায়াত সহ বিভিন্ন ঘটনায় মোহনবাবুকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবস্থার যে কোনোরূপ উন্নতি হয়নি, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। এবার ফের আরও একবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসু।

এদিন তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস রাজ্য নেতৃত্ব খুব দ্রুত পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবেন এবং সময়মত নেতৃত্বের পরিবর্তন করবেন। যারা দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন, তাদের দলে আনার চেষ্টা করবেন। কিছু রাজ্য নেতা এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা আমাকে বলেছেন অপেক্ষা করুন, সব ঠিক হয়ে যাবে। জেলার এক নেতাকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনিও আমার সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ রাখছেন না। জেলায় দল চলছে না। একটা আড্ডাখানায় আড্ডা হচ্ছে। এভাবে একটা শাসকদল চলতে পারে না।বিজেপির বিরুদ্ধে এখানে কোনো সংগ্রাম নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে এখনও আস্থা আছে। তাই দলে আছি। বিজেপি তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে চলেছে। অথচ জেলায় দল মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপরই অবস্থান স্পষ্ট করে দেব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই নেতার দ্বন্দ্বে তো ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়বে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব! যেভাবে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এবং দল পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ করলেন মোহন বসু, তাতে দলের শৃঙ্খলা ক্রমশ ভেঙে পড়েছে বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন মোহন বসুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যানী।

তিনি বলেন, “মোহনবাবু কি বলেছেন তা আমাদের বিষয় নয়। উনি অসুস্থ মানুষ। তাই কি বলছেন, সেই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। 2001 সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কি। 2014 সালে দলে এসে উনি ক্ষতি করেছেন, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি।” সব মিলিয়ে জলপাইগুড়িতে যত দিন যাচ্ছে, ততই যেভাবে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে, তাতে দল যদি এখন কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা না করে, তাহলে তা হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!