এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেশের বিপদে আনন্দ মমতার! বিদায় জানাতেই হবে, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!

দেশের বিপদে আনন্দ মমতার! বিদায় জানাতেই হবে, গর্জে উঠলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও দেশের পরাজয় এখনও ভুলতে পারছেন না ক্রিকেটপ্রেমী জনসাধারণ। যারা খেলাকে ভালোবাসেন, শুধু তারা কেন, সেদিন ভারতের জয় হবে, এটা সকলেই নিশ্চিত ছিলেন। তাই আপামর ভারতবাসীর সেই পরাজয়ের পর থেকে প্রবল মন খারাপ। কিন্তু তার মধ্যেও রাজনীতি করা বাদ দেবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যে স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে, সেই স্টেডিয়াম নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দেশবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তিনি আবারও সেই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন। ভারতবর্ষ একটি দেশ। তার অন্তর্গত একটি প্রদেশ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর স্বাধীনতা সংগ্রামী জন্ম হয়েছে। আর সেই পশ্চিমবঙ্গে থেকে তার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের বিপদে যে আনন্দ দেখাচ্ছেন, তা ভয়ংকর বলে দাবি করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে গোটা বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এই মুখ্যমন্ত্রী দেশবিরোধী কথা বলছেন। তিনি বলছেন, ওয়াংখেরেতে বা কলকাতায় হলে নাকি ইন্ডিয়া জিতত। দেশের বিপদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরিওয়াল, রাহুল গান্ধী আর পাকিস্থান এবং বাংলাদেশের জামাতরা আনন্দ করছেন। দেশ যখন বিপদে, তখন আনন্দ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” সত্যিই তো তাই! কোথায় প্লেয়াররা যখন হতাশ, তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলেই তো বোঝা যাবে, তিনি দেশের নেত্রী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তা না করে কোন স্টেডিয়ামে হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এক জঘন্য রুচির পরিচয় দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ যখন হতাশ হয়, তখন তার পাশে দাঁড়ানো উচিত। ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে বেশি প্রশ্ন তোলা উচিত নয়, প্রধানমন্ত্রী তো সেই খেলা শেষ হওয়ার পরেই প্লেয়ারদের ড্রেসিং রুমে গিয়ে তাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সেই কাজ কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারলেন না! কেন শুধুই তিনি রাজনীতির মধ্যে ডুবে থাকলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরাও।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দেশপ্রেম বলতে কিছুই জানেন না। তার কাছে নিজের স্বার্থ আগে। প্রত্যেক সময় রাজনীতি করে নিজের স্বার্থ কতটা গোটাতে পারছেন, সেটাই তিনি সবথেকে ভালো বোঝেন। তাই দেশের বিরোধিতা করে বিশ্বকাপ নিয়েও রাজনীতি করে গেলেন। তবে এই ধরনের দেশবিরোধী নেত্রীকে আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। সংস্কৃতির বাংলায় এই ধরনের ব্যক্তিত্বের বাড়বাড়ন্ত মানেই বিপদ। তাই দেশবিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে বিদায় জানাতে হবে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী, এটা তিনি কবে বুঝবেন? কবে তিনি বুঝবেন যে, একজন প্রশাসক যা ইচ্ছে তাই বলতে পারেন না! পরিবারবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি ভুলে যাচ্ছেন দেশ এবং রাজ্যের কথা! সবসময় নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে দেশপ্রেমকে উপেক্ষা করে বারবার নিজেকে দেশবিরোধী হিসেবে সকলের সামনে প্রমাণ করছেন। আর এটাতেই বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। তাই শুভেন্দু অধিকারী যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, এটা তো অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। যার ফলে সকলের সামনে রীতিমত মুখ খাওয়া হয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!