এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > শুভেন্দুর প্রতিবাদে অতিষ্ঠ তৃণমূল, প্রতিহিংসার সুর কুনালের গলায়! কটাক্ষ বিজেপির!

শুভেন্দুর প্রতিবাদে অতিষ্ঠ তৃণমূল, প্রতিহিংসার সুর কুনালের গলায়! কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে এই তৃণমূল সরকারকে কাবু করছে এবং যেভাবে সেটিং না করে লড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে শাসকদলের হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুলিশকে দিয়ে কি করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কেস দিয়ে তাকে জেলে ঢোকানো যায়, তার চেষ্টা করেই যাচ্ছেন। কিন্তু বারবার আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, তিনি গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত তার এই লড়াই লড়ে যাবেন। কিন্তু আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতার আবার স্বপ্ন দেখছেন, তারা নাকি যে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছেন, সেই জোট আগামী দিনে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসবে। আর সেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসলে শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি জেলে ঢোকানো হবে! এদিন নন্দীগ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এইরকমই কথা বলেছেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। যিনি আবার কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি কেন দলের মিটিংয়ে দেখা যায়নি, তা নিয়ে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তৃণমূল যে সব সময় প্রতি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে এবং সামান্য সুযোগ পেলে ক্ষমতাকে কি করে অপব্যবহার করতে হয়, তা ভালোমত জানে, তা কুনালবাবুর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল।

প্রসঙ্গত,  নন্দীগ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রে যদি ক্ষমতা উল্টে যায়, তাহলে এক মাসের মধ্যেই এই শুভেন্দু অধিকারীকে কলার ধরে জেলে ঢোকানো হবে।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, তৃণমূল কংগ্রেস তো এখন অভিযোগ করে, বিজেপি নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করছে! বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে নাকি সিবিআই চলে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কোন সৎ পুরুষের পরিচয় দিল? এমনিতেই তো ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার কোনো দূর-দূরান্তেও সম্ভাবনা নেই। তবুও যদি তর্কের খাতিরে তারা ক্ষমতায় আসেও, তাহলে কি পরিমান প্রতিহিংসা সেই জোটের একজন শরিক হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস করবে এবং বাংলায় কিভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে তারা টার্গেট করেছে, তা তো বুঝিয়ে দিলেন কুনাল ঘোষ। ফলে তৃণমূলের নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র ঠিক কতটা নিম্নগামী হয়ে উঠেছে, কিভাবে তারা শুভেন্দু অধিকারীকে ভয় পাচ্ছে, তা আরও একবার দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল।

বিজেপির দাবি, দলের মধ্যে পিসি এবং ভাইপো দুটো লবি চলছে। ভাইপোর লবিতে থেকে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে যাচ্ছেন কুনাল বাবু। সেই কারণে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে টার্গেট করে তিনি খবরের শিরোনামে আসতে চাইছেন। তবে তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে দিল যে, তৃণমূল সামান্য সুযোগ পেলে প্রশাসনকে কিভাবে ব্যবহার করে এবং করবে। এই রাজ্যে প্রশাসনের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার স্বপ্ন দেখছেন, ভারতবর্ষের ক্ষমতায় আসবেন এবং তারপর তার নেতারা নাকি শুভেন্দু অধিকারীকে জেলে ঢোকাবেন। এসব মামার বাড়ির গল্প ছাড়া আর কিছু নয় বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীকে জেলে ঢোকানোর স্বপ্ন পরে বাস্তব করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে নিজের দলকে সামাল দিন। তা না হলে খুব তাড়াতাড়ি দুর্নীতির দায়ে কে জেলে যাবে, তা নিয়ে তার দলের মধ্যেই কম্পিটিশন শুরু হয়ে যাবে। বিরোধীদের বক্তব্য এমনটাই। তাই তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ দীর্ঘদিন জেল খেটে আসার পর এখন দলের চোখে ভালো হওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে টার্গেট করে অনেক বড় বড় কথা বলছেন ঠিকই। তবে এর থেকে একটা বিষয় আরও পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃণমূল কি পরিমাণ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!