এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রবীন্দ্র সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো, একই সুরে কথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও

রবীন্দ্র সরোবরে নিষিদ্ধ ছটপুজো, একই সুরে কথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমেরও


চলতি বছর থেকে আর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হবে না বলে বেশ কিছুদিন আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত।তবে শুধু আদালতের তরফে নয়, সম্প্রতি এই রবীন্দ্র সরোবর দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএর তরফেও এই ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

আদালতের যা নির্দেশ আছে তা মানতে হবে বলে এ দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সেই কেএমডিএর কর্তা তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু আদালত ও কেএমডিয়ের এই কড়া সতর্কবার্তা সত্ত্বেও যদি আজ থেকে শুরু হওয়া এই ছটপুজোতে কোনো পুণ্যার্থী যদি রবীন্দ্র সরোবরে আসেন তাহলে কি তাকে আটকাতে কোনো বাড়তি উদ্যোগ নেবে প্রশাসন?

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই রবীন্দ্র সরোবরে যাতে ছটপুজো উপলক্ষে ভিড় না হয় সে জন্যে বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন, একদিকে ভিড় সামলাতে কঠোর ব্যবস্থা আর অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ কেউ অমান্য করলে সেদিকে নজরদাড়ি, সব মিলিয়ে আদৌ কতটা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পারবে প্রশাসন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই রবীন্দ্র সরোবরে পরিবেশ রক্ষার্থে যাতে ছট পুজো না হয় সেই কারণে মূল মামলাকারী সুস্মিতা ভট্টাচার্য্য বলেন, “আমরা এখানকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ের কথা আগেই মনে করি দিয়েছি। কিন্তু দেখে যা মনে হচ্ছে তাতে এবারও ছট পুজো হবে।” আর যদি এবারও এই জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়কে অমান্য করা হয় তাহলে আদালত অবমাননার মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে আদালতের নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হয় কি না সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যান রুদ্রও।এদিকে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো পালনের ব্যাপারে যখন সব মহলেই তৈরি হয়েছে তীব্র জল্পনা, ঠিক তখনই কলকাতার অন্যান্য ঘাটগুলিতেও সেই ছট পুজোকে ঘিরেই চলছে জোর প্রস্তুতি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সাতটি ওয়াচ টাওয়ার ও দুহাজার জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত দুর্ঘটনাকে এড়াতে নামানো হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কর্মীদেরও। সব মিলিয়ে এখন ছটপুজোকে ঘিরে গঙ্গার ঘাট গুলিতে চলছে জোর নিরাপত্তা-ব্যবস্থা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!