করোনা আবহে আসছে বড়সড় পরিবর্তন! সম্পূর্ণ বদলে যাবে ভোটের প্রচার থেকে হিসাব? বদলে যাবে অংক? কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 25, 2020 করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। কেননা এই ভাইরাস থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করা। যার ফলে গোটা দেশে বর্তমানে চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। কোনোরকম জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাই এমত পরিস্থিতিতে আসছে দিন যে সমস্ত নির্বাচন রয়েছে, সেই নির্বাচনের জন্য ঘরে বসেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। একাংশের মতে, আগামী দিনে যে সমস্ত বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে প্রচার পর্বে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে। বস্তুত, আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে হতে চলেছে বিহার বিধানসভার নির্বাচন। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের 24 টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হবে। যেখানে বিজেপি’র ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলেই দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে করোনা ভাইরাসের পরবর্তী মুহূর্তে সেই ভাইরাসের আতঙ্কে থাকা সকলে কিভাবে তাদের প্রচার চালাবেন, তা এখন বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। প্রসঙ্গত, কোনো ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার সমাবেশ, জনসভা, মিছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস আটকানোর নিয়ম যদি মানতে হয়, তাহলে এই জমায়েত করা বারন। সেদিক থেকে যদি সেই সমস্ত নির্বাচন আসার সময় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না কমে, তাহলে কিভাবে প্রচার করা হবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, যদি বাড়িতে বসে থেকেই প্রচার করতে হয়, তাহলে সেই মত করেই প্রস্তুতি নেবে সমস্ত রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান হাতিয়ার হবে সোশ্যাল মিডিয়া। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে সপ্তর্ষি যোজনা নামে একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে আগামী দিনের নির্বাচনের প্রচার কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে এই যোজনার মাধ্যমে বুথভিত্তিক 7 জন কর্মী নিয়ে একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং ফেসবুক গ্রুপ গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে বিজেপি তাদের প্রচার চালাবে বলে খবর। তবে বিজেপির পথ অনুসরণ করে যদি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়ে ভোটের প্রচার চালাতে শুরু করে, তাহলে ভোটের অংক পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেননা অতীতে যে কোনো নির্বাচনের আগে কোনো রাজনৈতিক দলের মিছিলে দেখেই বুঝে নেওয়া যেত যে, এখানে কি রকম নির্বাচন হতে চলেছে, কাদের পাল্লা ভারী। কিন্তু এবার যদি বাড়িতে বসে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেশি প্রচার করা হয়, তাহলে সেভাবে আভাস পাওয়া যাবে না যে, কোন দলের পাল্লা ভারী। যার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচনী প্রচারে যে ব্যাপক বদল আসতে চলেছে এবং সেই বদলের জেরে আগেভাগে ভোট অংকের আভাস পাওয়া যে অত্যন্ত দুঃসাধ্য, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -