এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অভিষেক-গড়ে শমীকের উপর দুষ্কৃতী হামলা! একুশের আগে চাপ বাড়িয়ে এবার আসরে নামলেন মুকুল-অরবিন্দ

অভিষেক-গড়ে শমীকের উপর দুষ্কৃতী হামলা! একুশের আগে চাপ বাড়িয়ে এবার আসরে নামলেন মুকুল-অরবিন্দ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবারে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল বিজেপি। শাসকদল তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে ছিল তাদের এই অবস্থান বিক্ষোভ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির বেশকিছু নেতৃত্ববর্গ উপস্থিত ছিলেন এই কর্মসূচিতে। গতকাল ডায়মন্ড হারবারে এই সভায় যোগদান করতে আসেন বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।

অভিযোগ উঠেছে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে রাস্তায় অতর্কিত হামলা চালানো হয় তার গাড়িতে। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে তাঁকে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। অতর্কিত আক্রমণে আহত হয়েছেন ৬ জন বিজেপি সদস্য। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আক্রমণকারীরা তাদের কাছ থেকে সোনার হার, মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনতাই করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতীরা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নামে অকথ্য গালিগালাজ করছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা সকলেই ছিল তৃণমূল আশ্রিত। দুষ্কৃতীদের অতর্কিত এই আক্রমণে আহত হয়েছেন তিনি। আজ আহত বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও সম্পাদক অরবিন্দ মেনন। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য তাঁদেরকে জানালেন যে, গতকাল তাঁর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানো হয়েছে।

ডায়মন্ডহারবার যাবার পথে তাঁর গাড়ি যখন ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মোহনপুরের কাছে আসে, তখন গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়ে কিছু দুষ্কৃতী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা চালানো এই হামলা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত। খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় এলাকায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য-এর উপর যেভাবে হেনস্থা করা হলো তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মতামত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, শাসকদল তৃণমূল যেমন করে হোক বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। একারণে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর চলছে আক্রমণ। এমন অবস্থা যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে তবে এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছুই থাকবে না । গত রবিবার রাতেই বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লকে হত্যা, এরপর গতকালই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে হেনস্থায় শোরগোল পরে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলের তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, “তৃণমূল দলটি এখন চুরি-ছিনতাই দলে পরিণত হয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!