এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমপান দুর্নীতিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের করা মামলায় বড়সড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের, জেনে নিন

আমপান দুর্নীতিতে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের করা মামলায় বড়সড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের উপর আছড়ে পড়েছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এই ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু স্থানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে এই ঝড়ের বিপর্যয়কর পরিস্থিতি লক্ষ্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের ঝড়ে বিপর্যস্ত অবস্থা দেখে যাবার অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ক্রমে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলি হেলিকপ্টারে করে পরিদর্শন করেন ও অতি শীঘ্র কেন্দ্রের তরফ থেকে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দান করেন। এরপর কেন্দ্রীয় টিমকে রাজ্যে পাঠিয়ে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরিদর্শন করে রাজ্যকে আরও ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে রাজ্য সরকারের অভিযোগ কেন্দ্রের তরফ থেকে আর কোনো ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবার উদ্যোগ নেয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আম্ফান ঝড়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্ষতিপূরণ দানের বিষয়টি নিয়ে বিরোধী মহল একাধিকবার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য সরকারের দিকে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার আমফানের ক্ষতিপূরণে দলবাজি ও স্বজনপোষণ করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বহু দোতলা, তিনতলা বাড়ির মালিক, বড় ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী মানুষ আছেন, ঝড়ে যাদের ন্যূনতম ক্ষতিও হয়নি, তাদের একাউন্টে চলে গেছে ক্ষতিপূরণের টাকা। অন্যদিকে যারা প্রকৃত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, ঝড়ে যারা গৃহহারা, তাদের মধ্যে অনেকেই সরকারি ক্ষতিপূরণ লাভে সক্ষম হননি।

শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আম্ফান দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও একাধিক ব্যক্তিত্ব কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। গতকাল শুক্রবার এই একাধিক মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানির পর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিভি রাধাকৃষ্ণাণ এর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে দু সপ্তাহের মধ্যে ঝড়ের ক্ষতিপূরণ এর রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত গতকাল রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বামপন্থী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, আম্ফান বিপর্যয়ের পর ত্রাণের নামে বড়োসড়ো দুর্নীতি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ঝড়ে যারা প্রকৃত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষতিপূরণের আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত। পরিবর্তে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে এমন অনেক ব্যক্তিকে যাদের কোনো ক্ষতিই হয়নি।

বামপন্থী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যর উত্থাপিত এই অভিযোগের তীব্রভাবে বিরোধিতা করলেন রাজ্যের তরফ থেকে এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, আম্ফান বিপর্যয় ঘটে যাবার অল্প কিছু পরেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ দানে যাতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি না আসে তা নিশ্চিত করতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের আবেদন অনুযায়ী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাংক একাউন্টে ক্ষতিপূরণ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।

এরপর বাদী-ফরিয়াদি দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ কোন পদ্ধতিতে কোন পদ্ধতিতে রাজ্য সরকার করেছে? বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের একাউন্টে কতটা পরিমাণে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে? এই সমস্ত কিছু রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর কাছে জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি টিভি রাধাকৃষ্ণণ এর ডিভিশন বেঞ্চ। যার জন্য রাজ্যকে সময় দেওয়া হল দু সপ্তাহ। সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হতে চলেছে বলে হাইকোটের তরফ থেকে জানানো হলো। দু সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয় সেদিকেই চোখ রাজ্যের বিভিন্ন মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!