এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > নতুন বইয়ে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাসপেন্ড হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী!

নতুন বইয়ে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাসপেন্ড হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটা সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার মুকুটহীন রাজা ছিলেন বামপন্থী নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তবে রাজ্যের ক্ষমতার হাতবদল এর পর থেকে ক্ষমতা হারিয়ে তিনি খুব তাড়াতাড়ি ম্রিয়মান হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বেশ কিছুটা সময় কারাগারে কাটিয়ে, অতঃপর কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে রাজনৈতিক অজ্ঞাত বাস গ্রহণ করেন তিনি। রাজনৈতিক পরিসর থেকে নিজেকে ক্রমাগত সংকুচিত গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেন তিনি। এরপরই ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ বছর নামের একটি বই লেখেন তিনি। এর পরেই দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও ছিন্ন হয়ে যায়। সিপিএম দলের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠে তাঁর উপরে। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, তাঁর এই গ্রন্থে একাধিক দল বিরোধী কথা, দলের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ করা হয়েছে।

এভাবে তাঁর গ্রন্থে দলের প্রতি বিষেদাগার এর পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম কমিটি থেকে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য রাজ্য কমিটির কাছে আবেদন করা হয়। এরপর রাজ্য কমিটির আবেদনের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সদস্য ছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম ও আভাস রায়চৌধুরি। করোনা সংক্রমণ কালেও সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রেখে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কমিশন।

গতকাল এই তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট সিপিএমের রাজ্য কমিটির একটি বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় উত্থাপিত করা হলো। এই রিপোর্ট উত্থাপনের পর রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে তিন মাসের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে, দলের বিরুদ্ধে এতটা বিষেদাগার করার পরেও তাঁকে দল পুরোপুরি কেন বহিষ্কার করতে পারল না? সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন, নানা জল্পনা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। দল থেকে তাঁর তিন মাস ব্যাপী এই বহিষ্কার সম্পর্কে সুশান্ত ঘোষ নিজেই জানিয়েছেন, “পার্টি আমাকে এখনও কিছু জানাইনি। তবে পার্টির আদর্শই আমার কাছে সবকিছু।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে দল কঠোর হতে না পারলেও ইতিপূর্বে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিপিএম সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শ্যামল মাইতিকে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সমস্ত পথ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির জনৈক সদস্যকে দল বিরোধী কাজ কর্মের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মূলত দলের কর্মীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করেই রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বাম নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রর পক্ষে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে তেমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেননি বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।

অন্যদিকে গতকালের এই বিশেষ ভার্চুয়াল বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি উপস্থিত ছিলেন। তিনি রাজ্যের বাম শিবিরকে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে গতকাল থেকে সিপিএম দলে আরও গুরুত্বপূর্ণ আসন পেলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ হয়েছেন। এবার সিপিএম রাজ্য কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য রূপে তিনি গণ্য হবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!