এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিল্লি সীমান্তে দীর্ঘ আন্দোলনের বিশেষ প্রস্তুতি আন্দোলনরত কৃষকদের

দিল্লি সীমান্তে দীর্ঘ আন্দোলনের বিশেষ প্রস্তুতি আন্দোলনরত কৃষকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন মাস অতিক্রন্ত হতে চলল কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লির সীমান্তের নানা স্থানে দানা বেঁধেছে কৃষক আন্দোলন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে নয়া কৃষি আইন বাতিলের জন্য আগামী ২রা অক্টোবর পর্যন্ত চরম সময়সীমা দিয়েছেন কৃষকেরা। তার মধ্যে যদি এই আইন বাতিল না হয়, তবে আরো বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এবার কৃষি আন্দোলনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছেন কৃষকেরা।

সম্প্রতি ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত জানালেন যে, কৃষক আন্দোলন এখন চলছে, তা আগামী দিনেও চলবে। গরম হোক বা বর্ষা কৃষক আন্দোলন চলবে। গরমের দিনে জেনারেটর নিয়ে আসা হবে। যেভাবে গ্রাম থেকে জল আনা হচ্ছে, সেভাবেই আনা হবে ডিজেল। দিল্লির সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকেরা গরমের দিনে এসি ও কুলার ব্যবহার করবেন। সরকার যদি তাদের বিদ্যুতের লাইন দেয় তবে ভালো। না হলে তাঁরা নিজেরাই জেনারেটর নিয়ে আসবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানালেন যে, সরকার কৃষকদের জন্য রাস্তায় যে পেরেক পুঁতে রেখেছে, সেগুলো টপকে তাঁরা এগোবেন। তিনি জানালেন যে, তাঁরা হলেন দিল্লির অতিথি। তাঁরা আসবেন, যাবেন আবার চাষাবাদও করবেন। সরকার যদি কিছু বলে তবে সংযুক্ত মোর্চা তার জবাব দেবে। তিনি জানালেন যে, খুব শীঘ্রই আট থেকে দশটি প্রশ্ন তৈরি করে তাঁরা সকলকে দেবেন। সরকার যখন ভোট চাইতে যাবে, তখন সরকারের কাছে এই প্রশ্নগুলো তাঁরা করবেন।

কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত আরও জানালেন যে, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গেও তারা বৈঠক করতে চলেছেন। এই রাজ্যগুলিতে সরকার কি করছে? সেটাও জানবেন তাঁরা। কৃষকদের তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁদের ট্রাক্টর, ট্রলি সমস্ত কিছু মজবুত করে রাখতে। দীর্ঘদিন ধরে চলবে কৃষক আন্দোলন। আন্দোলন আর নিজের চাষাবাদের দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কৃষকদের প্রতি রাকেশ টিকাইত জানালেন যে, মুজাফফরনগরে এর মধ্যে একটি বড় পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানে খাপ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে পাঞ্জাবীদের লঙ্গর নিয়ে আসবার প্রয়োজন হবে না। তাঁরাই তার ব্যবস্থা করে দেবেন। আবার, গতকাল দিল্লির গাজীপুর সীমান্তে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেত্রী তারা গান্ধী ভট্টাচার্য আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!