রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর বস্ত্রদান! করোনা বিধি উড়িয়ে ঠাসাঠাসি ভিড়! সংক্রমণের চিন্তা প্রবল তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভিড় থেকে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার সংক্রমণ। পূজামণ্ডপগুলি হয়ে উঠতে পারে করোনার এক-একটি হটস্পট। এইসব কারনেই চলতি বছর পুজোমন্ডপ গুলিকে দর্শকশূন্য রাখার বিশেষ নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, দর্শনার্থীদের সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজা দেখার। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই পুজো মণ্ডপ গুলোতে চলছে পুলিশের বিশেষ নজরদারি। কিন্তু এই আবহেই গতকলা বীরভূম জেলার রামপুরহাটে দেখা গেল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষের বিরাট জমায়েত। পুজো দেখতে অবশ্য এ জমায়েত নয়, এই ভিড় রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর বস্র প্রদানের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। গতকাল রামপুরহাটের জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনে দুঃস্থদের বস্ত্রদানের অনুষ্ঠান করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে এই বস্রদানের অনুষ্ঠানে বস্ত্র সংগ্রহ করতে মাস্ক না পরে, সামাজিক দূরত্ব অমান্য করে, একে অপরকে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি করে কাপড় সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন মানুষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনুষ্ঠানের ভিড় সামলাতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় পুলিশের। রাজ্যজুড়ে যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, সেই অবস্থায় এই ধরনের বছরের অনুষ্ঠান কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। জানা গেছে গতকাল ৮ হাজার মানুষকে বস্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু মানুষ বস্র না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছেন অনুষ্ঠানস্থল থেকে। গতকালের এই বস্রদানের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বিধায়ক হবার পর থেকেই প্রতিবছর মহাষষ্ঠীর দিন তিনি এলাকার দুঃস্থ মানুষদের নিজের উদ্যোগে বস্ত্র প্রদান করে থাকেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবার ফলে, এর চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। মন্ত্রীর বক্তব্য, একটা সামান্য কাপড় লাভের জন্য এই দিনের অপেক্ষা করে থাকেন বহু মানুষ। নিজের সাধ্য মতো তিনি মানুষকে বস্র দানের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কালে কৃষিমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান ও অনুষ্ঠানের ব্যাপক ভিড় সম্পর্কে বীরভূম জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী জানিয়েছেন, “মন্ত্রী বস্ত্র দান করে বিধানসভা ভোটের প্রচার করতে চেয়েছেন। আর পুলিশ প্রশাসনের কাছে এসব ভিড় জমায়েত নজরে পড়ে না। তাঁদের কাছে শাসক দলের মন্ত্রী মানে আইনের উর্ধ্বে।’’ রাজ্যের মন্ত্রী আশিষ ব্যানার্জির উপস্থিতিতে মুখে মাস্ক ছাড়াই বড়সড় জমায়েত করে বস্ত্রদান করছেন তৃণমূল নেতারা। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রমনের কথা চিন্তা করেই খোলামেলা জায়গাতে বস্র প্রদান অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একারণেই জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবন স্কুলে এই অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরে আসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে, গতকাল দেখা গেল যে, সকাল থেকেই অসংখ মানুষ ভিড় করেছেন এই স্থানে। রামপুরহাট ১ ব্লকের আদিবাসী এলাকা থেকে বহু মহিলা তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাড়িয়েছেন। এছাড়াও এসেছেন কাছাকাছি বিভিন্ন স্থানের মানুষ। অধিকাংশ মাস্ক পর্যন্ত পড়েনি। জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনের ভিতর ও বাইরে লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে কোনরকম সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। সময় যত বাড়তে থাকে, তত বাড়তে থাকে ভিড়। স্কুলের গেট থেকে ১৫০ মিটার দূরে মন্ত্রীর বাড়ির কাছে গণেশ মন্দির এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল এই বিরাট জমায়েত। ভিড় সামলাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় পুলিশকে। করোনা সংক্রমণ কালে রাজ্যের মন্ত্রীর এই ব্যাপক লোক সমাগমের অনুষ্ঠানের আয়োজনকে ঘিরে বিতর্ক উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নেই সামান্যতম দূরত্ববিধি, নেই মুখে মাস্ক! রামপুরহাটে বিশাল জমায়েত করে মন্ত্রী আশিষ ব্যানার্জির বস্ত্রদান অনুষ্ঠান চলছে। আপনার মতামত জানান -