এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পঞ্চায়েতে বেলাগাম সন্ত্রাস, শোচনীয় দশা হবে মমতার নেতাদের! শুভেন্দুর কথায় উজ্জীবিত কর্মীরা!

পঞ্চায়েতে বেলাগাম সন্ত্রাস, শোচনীয় দশা হবে মমতার নেতাদের! শুভেন্দুর কথায় উজ্জীবিত কর্মীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  তৃণমূল রাজ্যটাকে নিজেদের সাজানো বাগান পেয়ে গিয়েছে। তারা যেমন ভাবে চালাবে, সেভাবেই যেন চলবে রাজ্য। কিন্তু এই রাজ্যে আইন আদালত বলে কিছু একটা আছে। আর সেই কারণে বিরোধীদের বাধা দান থেকে শুরু করে নির্বাচনে সন্ত্রাস, সব ব্যাপারে আদালতে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় খাচ্ছে এই রাজ্যের প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। তবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে যে কাজ শুভেন্দু অধিকারী করে যাচ্ছেন, তা স্যালুট জানানোর মত। এদিন বীরভূমে গিয়ে তিনি পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুললেন। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের ভবিষ্যত যে অত্যন্ত অন্ধকার, সেই ব্যাপারেও একটা বড় আভাস দিতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর দলীয় নেতার এই বক্তব্যের পরেই বিজেপি কর্মীদের একাংশ বলছেন, এবার হয়ত পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস যে হয়েছে, তার জন্য চরম মাশুল চোকাতে হতে পারে তৃণমূলের নেতাদের। কিন্তু কি এমন বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

প্রসঙ্গত,  এদিন বীরভূমে গিয়ে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে যে চার পাঁচটা জায়গায় নমিনেশন করতে দেয়নি, তাদের ফল ভয়ংকর হবে। কেষ্ট মন্ডলের থেকেও তাদের করুণ পরিণতি হবে। আমি শুভেন্দু অধিকারী বলে গেলাম।” অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই। এই কেষ্ট মন্ডল কেউ কোনোকালে ভেবেছে যে, তিনি জেলে যাবেন! তিহারের জেলে তাকে চোখের জল ফেলতে হবে! কিন্তু আজকে সেটাই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে পাপ করলে সেই পাপের ফল এই জন্মেই পেয়ে যেতে হয়। বীরভূমে এক সময় নমিনেশন জমা দেওয়া যেত না। সব জায়গায় হুমকি চলত। কেষ্ট মন্ডল জেলে যাওয়ার পর তার প্রবণতা হয়ত কিছুটা কমেছে। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অনেক তৃণমূল নেতার দাদাগিরির জন্য বিরোধীরা নমিনেশন জমা দিতে পারেনি। তাই তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন, ফল ভালো হবে না।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী শুধু শাসক দলকে জব্দ করছেন না। তার এই সমস্ত বক্তব্য যথেষ্ট উজ্জীবিত করছে দলের নেতা কর্মীদেরও। কারণ নীচুতলায় কর্মীদের প্রবল লড়াই করতে হচ্ছে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। গত পঞ্চায়েতে হুমকিকে উপেক্ষা করে মাটি কামড়ে থেকে দলের কর্মীরা লড়াই করেছেন। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যারা তাদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, তাদেরকে শায়েস্তা করার মত একজন নেতা চাই। আর সেটাই বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে করে দেখালেন শুভেন্দুবাবু। তাই তৃণমূল নেতারা যদি ভাবেন, হুমকি হুঁশিয়ারি দিয়ে ভোট কিনে নেওয়া যায়, তাহলে তারা ভুল করছেন। কেষ্ট মন্ডলের জায়গা যারা নিতে চাইছেন, তাদের ভয়ংকর পরিণতি আসতে চলেছে। আগামী দিন তাদের সুখকর হবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগে সেই কমিশনকেও আদালতের দরজায় যেতে হয়েছে। তাই যারা সন্ত্রাস করেছে, তাদেরকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে বিজেপির যে সমস্ত কর্মীরা এখনও পর্যন্ত আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন, তাদের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে। তাই জবাব দেওয়ার রাস্তা খুজে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই কারণেই অনুব্রত মণ্ডলের অবর্তমানে যারা তৃণমূলের নেতা হয়ে বাড়াবাড়ি করছেন, তাদের কি করে জবাব দিতে হয়, তা তিনি দেখিয়ে দিলেন। আর বিরোধী দলনেতার এই ভোকাল টনিক যথেষ্ট উজ্জীবিত করছে বিজেপির নেতা কর্মীদের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!