এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের ফাকা আওয়াজ মমতার, শুভেন্দুকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আছে তো? আক্রমনে বিজেপি!

ফের ফাকা আওয়াজ মমতার, শুভেন্দুকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আছে তো? আক্রমনে বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের মধ্যে একটাই কাজ, সেটা হচ্ছে, কি করে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করা যায়! কি করে তাকে জেলে ঢোকানো যায়! দিনের মধ্যে সরকারি কাজকর্ম বাদ দিয়ে, রাজ্যের উন্নয়ন বাদ দিয়ে সব সময় মাথায় এই চিন্তা ভাবনায় চলতে থাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। বিরোধীদের দাবি তেমনটাই

আচ্ছা, এটা কি একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাজ হতে পারে? হয়তো এই কাজকর্মই ফ্যাসিস্ট শাসকের পক্ষে শোভা পায়। বারবার প্রমাণিত হচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীকে কতটা ভয় পাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! এখন আবার তিনি বলছেন যে, তার নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তার নেতারা চুরি করে জেলে যাচ্ছে। তাই তিনি এবার পাল্টা বিরোধী নেতাদের নাকি গ্রেফতার করার কাজ শুরু করবেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু সেই ক্ষমতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে তো? কৃষ্ণনগরের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে কথা বললেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ কিন্তু অনেকটাই বেড়ে গেল।

প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্ণনগরের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বদলার রাজনীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এখন বলছেন চারজনকে ধরলে আট জনকে ধরব। ধরে দেখা না, কত বড় বাপের বেটি! আমার বিরুদ্ধে 35 টা মামলা করেছে। মমতা ব্যানার্জির এসব কথায় আর চিড়ে ভিজবে না। রাজ্যের মানুষ বুঝে গিয়েছেন, তিনি একজন মিথ্যেবাদী।” অনেকে বলছেন, বিন্দুমাত্র বিবেকবোধ, বিন্দুমাত্র মেরুদন্ড থাকলে বিরোধী নেতাকে জব্দ করতে এত চেষ্টা একজন মুখ্যমন্ত্রী করতেন না! এর আগেও তো রাজ্যে অনেক বিরোধী নেতা ছিল। তাদের সঙ্গে তো এর আগের মুখ্যমন্ত্রীরা সৌজন্যতা দেখিয়েছিলেন।

আবার বিরোধিতা করার সময় সেই বিরোধী নেতাদের বিরোধিতাও তারা সহ্য করেছিলেন। কিন্তু এইরকম মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ কোনোদিনও পায়নি। রাজ্যের উন্নয়ন হত কত টাকা দিয়ে। অথচ সেই কোটি কোটি টাকা, মানুষের টাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খরচ করেছেন আইনজীবীদের পেছনে, আদালতের পেছনে, যাতে শুভেন্দু অধিকারীকে জেলে ঢোকানো যায়। তাও সব ক্ষেত্রে হেরে বাড়ি ফিরে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও এই নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধীদের জব্দ করার প্রয়াস শেষ হচ্ছে না। তবে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে যে ভাষায় জবাব দিলেন, তাতে লজ্জা থাকলে আর এই প্রতিহিংসা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, এই রাজ্যের শাসক দল তো দু কান কাটা। সেই জন্য তাদের লজ্জা এবং বিবেকবোধ কোনো কাজেই জাগ্রত হবে না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, তার বিদায় নেওয়ার সময় চলে এসেছে। তাই এখন শেষের সময় যত বেশি করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিরোধীদের জব্দ করা যায়, পুলিশকে দিয়ে সেই চেষ্টাই আরও প্রবলভাবে শুরু করে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যে আদালত বলে কিছু একটা বিষয় রয়েছে। বারবার আদালতে কানমোলা খাচ্ছেন, তারপরেও নির্লজ্জতার শেষ নেই। এই সরকারের অতীতেও চেষ্টা করে পারেননি, এবারেও শত চেষ্টা করেও শুভেন্দু অধিকারীর মত বিজেপি নেতাদের আটকে রাখতে পারবেন না। আর নীচুতলার কর্মীদের গায়ে যদি হাত পড়ে, বিজেপির হয়ে নীচুতলায় যারা লড়াই করছেন, তাদের যদি গ্রেপ্তার করার চক্রান্ত করে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ, তাহলে সেখানেও কি করে এই পুলিশের মুখে ঝামা ঘষে দিতে হয়, কি করে আদালত থেকে জয় নিয়ে আসতে হয়, সেটা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো করে জানেন। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি করার আগে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি মাথা ঘামান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন, তিনি গ্রেপ্তার করার কথা বলবেন। আর তাতে বিরোধীরা ভয়ে গুটিয়ে যাবে। কিন্তু সে সব দিন অতীত। তার হুমকি, ধমকিতে কেউ ভয় পায় না। যদি অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবেই। তাই জেলের ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করতে পারবেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!