করোনা আবহে আবারো বড় নৈতিক জয় মমতার, মোদীর কেন্দ্র সরকারও অবশেষে মানতে বাধ্য হল এই দাবি কলকাতা তৃণমূল বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য November 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে গবেষকদের দাবি ছিল মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। কারণ এটিকে একটি সংক্রামক ব্যাধি হিসেবেই মনে করা হয়েছিল। ফলত তা মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে বলে মনে করা হয়। তাই মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়। এবিষয়ে যে কথাটি বহুল প্রচলিত হয়ে পড়ে সেটি হলো সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন বা সোশ্যাল ডিস্টানসিং মেনে চলা। বস্তুত, এক্ষেত্রে মনে করা হয়েছিল যে এই কথাটি মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করতে পারে। ফলে যেখানে মহামারীর আবহে পারস্পারিক সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন, সেখানে এর ফলে করোনা রোগীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেক্ষেত্রে অসুস্থ অবস্থায় সামাজিক বয়কটের শিকার হলে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মানসিক সমস্যা হতে পারে বলেও মনে করা হয়েছিল। আর তাতে বিপদ আরও বাড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে সেক্ষেত্রে ‘শারীরিক দূরত্ব’ বা ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করেছিলেন বিশ্লেষকেরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে সেটা প্রথম এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মনে করেছিলেন বলেই জানা গেছে। তিনিই প্রথম ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটির বদলে ‘ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং’ কথাটি ব্যবহার করার পক্ষে বলেন বলে জানা যায়। জানা গেছে, পরবর্তীকালে নাকি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শান্তনু সেন এই বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেন। সম্প্রতি কেন্দ্রকে শান্তনুর সেই দাবিই মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এরপর থেকে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স নয়, বরং ফিজিক্যাল ডিসট্যান্স কথাটি বলতে হবে বলেই জানান হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শান্তনু সেন জানিয়েছেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শারীরিক দূরত্ব শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন।” তাঁর কথায়, এখন তা গোটা দেশে ব্যবহৃত হবে। একইভাবে কো-মর্বিডিটি স্টাডিজ, সেফ হোমের মতো বিষয় গুলিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম ব্যবহার করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর এগুলোই আজ গোটা দেশে সমাদৃত বলেও তিনি জানিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -