এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা জোট করলে ক্ষতি নেই, আর বিধায়ক করলেই শোকজ ! তৃণমূলের দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস !

মমতা জোট করলে ক্ষতি নেই, আর বিধায়ক করলেই শোকজ ! তৃণমূলের দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকাতে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনা করছেন রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরিরা। যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু তাতে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে সেই তৃণমূলের এক বিধায়ক বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিতভাবে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করার কারণে বিধায়ককে শোকজ করা হলো। যার ফলে তৃণমূলের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে প্রকাশ্যে জোট করতে ক্ষতি নেই। তবে সেই বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে মিলিত হলে বিধায়কের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ককে একটি শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শাসকদলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনের ক্ষেত্রে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করেছেন। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের এই দ্বিচারিতা নীতি নিয়েই নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, যে বামেদের সঙ্গে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে দলের প্রধান লক্ষ্য বাম বিরোধিতা, সেই বামেদের সঙ্গেই এক মঞ্চে থাকতে লজ্জা করছে না তৃণমূলের। আবার রাজ্যে সেই বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করার কারণে বিধায়ককে শোকজ হতে হলো। সত্যিই এক আশ্চর্য দল হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে তৃনমূল বলে কটাক্ষ একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের নীতি নৈতিকতা বলে কিছু নেই। আজকে যারা শত্রু, কালকে তারা তৃণমূলের মিত্র হিসেবে পরিচিত। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল ক্ষমতা ছাড়া আর কিছু বোঝে না। একসময় কংগ্রেসকে ছুড়ে ফেলতে দু মিনিট সময় লাগেনি তৃণমূল নেত্রীর। আজকে সেই কংগ্রেসের সঙ্গেই বিজেপিকে আটকাতে সর্বভারতীয় স্তরে জোটে সামিল হচ্ছে তারা। কিন্তু বিজেপিকে সরানোর জন্য সর্বভারতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফায়দা নেবেন, তবে তার বিরুদ্ধে কথা বলার মত দলে কেউ নেই। কিন্তু তার বিধায়ক যখন স্থানীয় স্তরে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিত হয়ে কিছু করবেন, তখন তাতে নাকি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে তৃনমূলের! যার ফলে অনেকে বলছেন, বিধায়কের বিরুদ্ধে যদি এই কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে কেন সেই একই দোষে দলনেত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না ?

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, এইরকম ঘাড়ে মাথা থাকা লোকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। কারণ তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্প পোস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এখন দলে শেষ কথা বলতে শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা যা বলবেন, সেটাই ঠিক। যে বাম বিরোধীতার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের উত্থান হয়েছে, যে কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের এত শত্রুতা, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ফায়দা তোলার জন্য এবং ক্ষমতা দখলের জন্য তাদের সঙ্গেই জোট করছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু একজন বিধায়ক বাংলায় বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্থায়ী সমিতি গঠন করলেই তার ওপর নেমে আসছে আঘাত। ফলে দলের ভেতরে এবং বাইরে তৃণমূল যে একটা চরম দ্বিচারিতার রাজনীতি শুরু করেছে, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!