মমতা পুলিশের ওপর চরম ক্ষুব্ধ ফিরহাদ, ক্ষোভ উগড়ে জল্পনা বাড়ালেন মন্ত্রী! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 12, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যের শাসক দল সব ক্ষেত্রে পুলিশকে ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। এমনকি বিরোধী দলনেতার গতিবিধির ওপরেও নজর রাখতেও পুলিশকে কাজে লাগানো হয়। আর যে পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত ভরসার জায়গা নিয়ে রয়েছে, সেই পুলিশের ওপরেই এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাস্তায় যে সমস্ত সিসিটিভি রয়েছে, তার 50 শতাংশ কাজ করে না বলে বিরক্তি প্রকাশ করলেন তিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সকাল, বিকেল যে মন্ত্রীর এত ভালো যোগাযোগ, তিনি কলকাতা পুলিশ সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা পৌরসভার মহানগরিক একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “কলকাতার আশেপাশে যে সমস্ত সিসিটিভি রয়েছে, তার 50 শতাংশ অচল, কাজ করে না। দুর্ঘটনার পর সিসিটিভির খোঁজ করতে গেলে সেটা ধরা পড়ে।” একাংশের প্রশ্ন, হঠাৎ করে এই ছন্দপতনের কারণ কি? রাজ্যে তো অনেক ব্যাবস্থাতেই পচন ধরেছে। এতদিন তো তৃণমূলের ছোট, মেজো নেতারা সেই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সকাল, বিকাল যাতায়াত করা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীও কলকাতা পুলিশকে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন, তাতে তো চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে শাসক শিবিরের। বিরোধীদের মতে, খেলা এবার শেষের মুখে। বিধানসভা থেকে শুরু করে লোকসভা, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। আর তারই কি ট্রেলার নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আগেভাগেই দিয়ে ফেললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম!ফলে বিরোধীরা পুলিশ নিয়ে যে অভিযোগ করছে, তার সঙ্গে তিনিও সহমত যে, পুলিশ কার্যত অকর্মন্য হয়ে গিয়ৈছে রাজ্যে! তবে তিনি তো এই কথা বলে সরাসরি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী এবং তার নেত্রীকে এই প্রশ্নবানেই বিদ্ধ করলেন! ফলে হাকিমবাবুর ভবিষ্যৎ এবার তৃণমূলের মধ্যে কি হতে চলেছে, তা নিয়েও ক্রমশ জল্পনা তীব্র হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা, যিনি যুবরাজ হিসেবে পরিচিত, তার সঙ্গে এই ফিরহাদ হাকিমের সম্পর্ক আদায়-কাচকলায়। একের পর এক প্রবীণ নেতাকে সাইড করার সময় সেই যুবরাজ ক্রমশ চেষ্টা করছিলেন, যাতে হাকিম বাবুকেও সাইড করা যায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে থাকার কারণে কোনোমতে রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। আর পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এই মন্তব্যে সেই যুবরাজ বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেলেন। আর এর ফলে আগামী দিন একদিকে যেমন অস্বস্তির মুখে পড়লেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই ফিরহাদ হাকিমের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আপনার মতামত জানান -