এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতার দাদাগিরি শেষ, এবার থেকে শেষ কথা বলবে রাজভবন! চরম নির্দেশিকা রাজ্যপালের!

মমতার দাদাগিরি শেষ, এবার থেকে শেষ কথা বলবে রাজভবন! চরম নির্দেশিকা রাজ্যপালের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এবার কি রাজ্যের সব জারিজুরি শেষ হতে চলেছে! বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত চলছিলই রাজ্যে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এবং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল। যেখানে রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হলো, এবার থেকে সরকারের নির্দেশ যে মানতেই হবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে, এমন কোনো বিষয় নেই। বরঞ্চ উপাচার্যরাই শেষ কথা বলবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে জানানো হয়, এখন থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শেষ কথা বলবেন উপাচার্যরাই। শুধু তাই নয়, সরকারের নির্দেশ মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজভবন। এছাড়াও আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের পক্ষ থেকে আসা নির্দেশ মানতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যকে কার্যত গুরুত্বহীন করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজভবনের এই নির্দেশ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজভবন। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে যে রাজভবনের কিছু যায় আসে না, তা বারবার স্পষ্ট হয়েছে। আর এবার সেই ঘটনায় নয়া সংযোজন রাজভবনের তরফে প্রকাশিত এই নয়া নির্দেশিকা। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল, এবার থেকে রাজ্যপাল অর্থাৎ আচার্য এবং উপাচার্যের কথামতোই চলবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। যেখানে কোনো ভূমিকা থাকবে না রাজ্য সরকারের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজভবনের এই নির্দেশিকার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সরকারের দাদাগিরি কার্যত বন্ধ হতে চলেছে। নিজেদের ইচ্ছেমতো সরকার বাহাদুর যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় এবং উপাচার্যকে দিয়ে সেই সিদ্ধান্ত বলবৎ করার চেষ্টা করে, তাহলে তা আর আর হবে না। বরঞ্চ আচার্যের নির্দেশিকা মতই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শুধু তাই নয়, উপাচার্যরাও নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে রাজভবনের এই নির্দেশিকা সরকার যে মোটেই খুশি হবে না এবং তার ফলে যে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংজ্ঞা তারও তীব্রতর হয়ে উঠবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!